শ্বাসরোধে প্রেমিকাকে হত্যা, প্রেমিক গ্রেফতার


সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে বংশী নদীতে ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক বাবু আকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পর রবিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়ার বংশী নদীর নয়ারহাট এলাকা থেকে থেকে প্রেমিকা সাহিদা আক্তার হ্যাপির (৩১) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় হত্যাকারী প্রেমিক বাবু আকনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত বাবু আকন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। নিহত শাহিদা আক্তার হ্যাপি একই এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করে স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। হ্যাপির গ্রামের বাড়ির বরিশালের হিজলা থানার কোলচর গ্রামে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন জানান, গত ৩১ মার্চ সাহিদা আক্তার হ্যাপি তার প্রেমিক বাবু আকন্দের সাথে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় তার বাবা আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। সাধারণ ডায়েরি দায়েরের পরপরই তদন্তে নেমে প্রেমিক বাবু আকনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় বাকবিতণ্ডার জেরে সাহিদা আক্তার হ্যাপিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে বাবু। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বংশী নদীর নয়ারহাট এলাকা থেকে নিখোঁজ ওই নারীর বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ওই নারীর বাবা আব্দুল কুদ্দুস বেপারীর দায়েরকৃত হত্যা মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে অভিযুক্ত প্রেমিক বাবুকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এমবি
