ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

৩ বছরে বিসিবির আয় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা

৩ বছরে বিসিবির আয় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের সবথেকে ধনী সংগঠন তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেও অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্ত অবস্থান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। করোনাভাইরাসের মধ্যে যেখানে আর্থিক দৈন্যদশায় ভুগছে বিশ্বের প্রভাবশালী বোর্ডগুলো, সেখানে বিসিবি শেষ ৩ বছরে ঘরে তুলেছে ২৯ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। তবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেলেও করোনার কারণে কিছু জায়গায় ব্যর্থও হয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম শেষে নিজে সভাপতি থাকা অবস্থায় বোর্ডকে কতটুকু দিয়েছেন তার হিসাব-নিকাশ তুলে ধরেন পাপন। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল; এই ৬ বছরে যেখানে বোর্ডের ইনকাম ছিল ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে করোনার মধ্যেও শেষ ৩ বছরে বোর্ডের উপার্জন ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।


পাপন জানান, ‘বড় বড় বোর্ডগুলো করোনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। তারা আইসিসি থেকে টাকা ঋণ নিচ্ছে বা চাচ্ছে। সে জায়গায় আমরা ক্রিকেটের বাইরেও অনেককে সাহায্যের চেষ্টা করে গিয়েছি। ১২ থেকে ১৮, এই ছয় বছরে আমরা ৩৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পেয়েছি। গত ৩ বছরে সেটা ২৯ মিলিয়ন ডলার, করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও।’

করোনাভাইরাসের কারণে কর্মী ছাটাইয়ের পথে হেঁটেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো ধনী বোর্ডগুলো। কাটা হয়েছে ক্রিকেটারদের বেতন। অথচ উল্টো পথে বিসিবি। বরং সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের সঙ্গে নারী দলের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে। তবে এবারের এজিএম শেষে নিজেদের ব্যর্থতাও তুলে ধরলেন পাপন। অকপটে স্বীকার করলেন কোথায় কোথায় ঘাটতি।

পাপন জানালেন, ‘সামনে যে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হবে। এখনকার ছেলেদের জন্য তো কিছুই করতে পারলাম না। আগের ওদের জন্য যা করেছি তার কিছুই করতে পারলাম না। আগের দলটি ৩০টির মতো ম্যাচ খেলেছে, সারাক্ষণ খেলার মধ্যে ছিল। এখন তো কোনো বোর্ড খেলতে রাজি হচ্ছে না, জাতীয় দলই হচ্ছে না। আগের দলের সুযোগ-সুবিধা এই দলকে দিতে পারিনি কোভিডের জন্য।’

সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘বিশ্বকাপ জিতে যারা আসলো তারা যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, যে জায়গায় আজকে দেখতে পারার কথা, যে পর্যায়ে আসার কথা তা আমরা দিতে পারিনি। এটাও কোভিডের জন্য। এগুলো ব্যর্থতা। উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বপ্রথম বৈশ্বিক সাফল্য আসে নারী ক্রিকেটের হাত ধরে। ২০১৮ সালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপার স্বাদ পায়। সেই নারী দল দীর্ঘদিন কাজ চালাচ্ছে হেড কোচ ছাড়া। এটিকেও বোর্ডের ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরেছেন পাপন। তবে সবকিছুর দায় চাপাচ্ছেন করোনার কাঁধে।

পাপন বললেন, ‘নারী দল এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হলো। বিদেশ থেকে কোচ নিয়ে আসলাম। পারফর্ম ভালোই করছিল। এখন তো কোচই নেই। কোভিডের মাঝে পাচ্ছিও না। এটা ব্যর্থতা। করোনার প্রভাব ভালোভাবে পড়েছে।’


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন