করোনা: খুলনার চার হাসপাতালে আরও ১৯ জনের মৃত্যু


খুলনার চারটি হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এরমধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে করোনায় পাঁচজন ও উপসর্গে পাঁচজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজন, বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন ও শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন-খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আফজাল হোসেন (৫০), দৌলতপুরের সামাদ মোল্লা (৭৫), ফুলবাড়ীগেটের গাজী সামসুর রহমান (৮৪), ১ নম্বর কাস্টমঘাটের সুমি (২২) এবং বাগেরহাটের বিষ্ণুপুরের সামসুন্নেছা (৪৭)। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৫ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩০ জন, ইয়ালো জোনে ২৫ জন, আইসিইউতে ২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার আইচগাতীর কালাম সরদার (৭৮), একই এলাকার সিংহেরচর এলাকার তাসলিমা (৪৫), ডুমুরিয়া উপজেলার সৈয়দ মুজিবুর রহমান (৮০) ও একই উপজেলার ঘোনাবান্ধা গ্রামের চিত্তরঞ্জন মণ্ডল (৮০)। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৬ জন। এরমধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও ৪১ জন মহিলা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে তিনজন খুলনার ও একজন বাগেরহাটের বাসিন্দা।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তি হলেন, খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আলমগীর মল্লিক (৬৫)। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টয় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬জন।
এমইউআর
