ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • ‘মব জাস্টিস’ মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে : তারেক রহমান বৃহস্পতিবার শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, অংশ নিচ্ছে ১২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ একজন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, একমত বিএনপি পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামি : প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই: ফয়জুল করীম আইএমএফের অর্থছাড়: ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রিজার্ভ বাকেরগঞ্জের কারখানা নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়চ্ছেন মানুষ পন্টুনের ধাক্কায় ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে, জেলে নিখোঁজ
  • ঈদের দিনসহ ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৪৯ প্রাণ

    ঈদের দিনসহ ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৪৯ প্রাণ
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও দেশে এবারের ঈদ-যাতায়াতে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। 

    গত ১৪ মে ঈদুল ফিতরের দিনসহ মোট ১২ দিনে ২০৭টি দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত ও ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার বিষয়ক দু'টি সামাজিক সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক যৌথ প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।

     ১৫টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং আটটি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠন দু'টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সড়ক, মহাসড়ক ও পল্লী এলাকাসহ সারাদেশে এসব প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জন নারী, ২৯ জন শিশু, ২৩ জন পথচারী এবং চালকসহ ২৭ জন পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন। 

    দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা সর্বশেষ ঈদের (গত বছরের ঈদুল আজহা) ছুটির চেয়ে বেশি।  এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ঈদুল আজহার দিনসহ আগে ও পরে ১২ দিনে সারা দেশে ১৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটে; যেখানে ২২৯ নিহত ও ৩১৮ জন আহত হন। দুর্ঘটনার জন্য বাসসহ বিভিন্ন ধরনের ৩২৯টি ছোট যানবাহনকে দায়ী করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ দিনে সর্বোচ্চ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৮টি; যেখানে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। 

    এই সময়ের মধ্যে মহাসড়কে ৩৩ দশমিক ৫, অভ্যন্তরীণ সড়কে ৩৬, গ্রামীণ সড়কে ১৮ দশমিক ৫ এবং শহর এলাকার সড়কে ১২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দূরপাল্লার বাস, যাত্রীবাহী অভ্যন্তরীণ নৌযান এবং ট্রেন চলাচলের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের ঈদে সড়ক, মহাসড়ক ও গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে বিপুলসংখ্যক প্রাইভেটকার ও অন্যান্য ছোট যানবাহন চলাচল করেছে। 

    এগুলোর ওপর কার্যত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও তদারকি ছিল না। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এসব যানবাহন অনেকাংশে দায়ী। 

    এ প্রসঙ্গে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাব, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের অসচেতনতা, গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করা, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও যুবক শ্রেণির চালকদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য ক্ষুদ্র গাড়ি চালানো এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। 

    প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দক্ষ চালক তৈরি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) শক্তিশালী ও গতিশীলকরণ এবং প্রচলিত আইন ও বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
     


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ