বাড়ছে তাপপ্রবাহ, থাকবে সপ্তাহের বেশি


ফল পাকা জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই তাতিয়ে উঠছে প্রকৃতি। অসহনীয় উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। অস্বস্তিকর তাপপ্রবাহ, ভ্যাপসা গরম আর কিয়দংশে ঝড়বৃষ্টি কবলিত এখন দেশ। ৫ বিভাগে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনার মধ্যে ১০টি অঞ্চল ও দুটি বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ।
রবিবার থেকে ব্যারোমিটারের পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ সতর্কবার্তা বলছে, তাপদাহ থেকে এখনই নিস্তার মিলবে না। আরও অন্তত ৭-৯ দিন ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
সোমবার সকাল থেকেও বয়ে যাচ্ছে গরম হাওয়া। হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ রবিবার ছিল ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ২৬ মে পর্যন্ত দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। মাঝে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে আজ দুপুরে ঢাকা বিভাগের মধ্যে ফরিদপুরে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, মাদারীপুরে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও গোপালগঞ্জে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল রাজশাহী (সর্বোচ্চ ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস), খুলনা (সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও বরিশালে (সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান বলেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। এ কারণে ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম, ৫৮ শতাংশ। এ কারণে ঘাম দিচ্ছে না। আগামী এক সপ্তাহে এই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বরং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এমবি
