বাউফল থানায় হয়রানির শিকার পুলিশ কর্মকর্তার ভাই


পটুয়াখালীর বাউফল থানার চুরির অভিযোগ করতে গিয়ে আনিচুর রহমান নামের এক ব্যক্তি হয়রানির শিকার হয়েছেন। আনিচুর রহমান নারায়ণগঞ্জের ঝালকুড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুল আউয়ালের ছোট ভাই। তার বাবা মৃত হারুন অর রশিদও পুলিশের কর্মকর্তা ছিলেন।
হয়রানির শিকার আনিচুর রহমান বলেন, গত ১৬ মার্চ অভিনব কায়দায় আমার বসত ঘরের দরজা খুলে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫৩ হাজার টাকা চুরি হয়। পরের দিন আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বাউফল থানার এসআই প্রসেনজিৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। এরই মধ্যে আমার বংশের বড় ভাই মান্নান হাওলাদার এসে স্বেচ্ছায় আমার কাছে চুরির সঙ্গে জড়িতদের তথ্য প্রকাশ করেন। পরে বাড়ির গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিস বৈঠকে ৬ দিনের মধ্যে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মান্নান হাওলাদার গং।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবহিত করি। কিন্তু ৬ দিন অতিবাহিত হলেও আমার স্বর্ণালংকার ও টাকা ফেরত না দিয়ে চোরচক্র আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পায়তারা শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত থানায় আমার অভিযোগটি এফআইআর করা হয়নি। বরং বাউফল থানার এসআই সবুর আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অবশ্য এসআই সবুর হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন বলেন, চোর স্বেচ্ছায় তার কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এটা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। আমরা বিষয়টির তদন্ত করছি।
এসএমএইচ
