ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

শসা-বেগুন-মাছ বাজারে আগুন, সস্তায় আলু-পেঁয়াজ

শসা-বেগুন-মাছ বাজারে আগুন, সস্তায় আলু-পেঁয়াজ
ছবি: সংগৃহীত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশালের বাজারগুলোতে গেলো এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের মতই কমেছে সজনের ডাটা ও সোনালি মুরগির দাম এবং আলু। তবে রোজার প্রভাবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও শসা। বেগুনের কেজি কোন কোন বাজারে সেঞ্চুরি করেছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি বেগুন একশত টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। আবার প্রতি কেজি শসার মূল্য ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। শসা আর বেগুনের সাথে বেড়েছে ইলিশ এবং রুটসহ বিভিন্ন প্রজারি মাছের।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ খুচরা ব্যবসায়ী দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ২৫ টাকা। আবার কোন কোনো কোনো ব্যবসায়ী ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। আবার ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা প্রতি চার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন একশত টাকায়। তবে পাইকারি বাজারের তথ্য মতে প্রতি কেজি ২০-২২ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন কমিশন এজেন্টরা।

পোর্ট রোটের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, মাঝে হুট করেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। সেসময় পেঁয়াজের কেজি ৬৫-৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। তবে হালি পেঁয়াজ আসার পর থেকে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আড়ত থেকে কম দামে কিনতে পারায় কম দামে বিক্রি করতে পারছি।

এদিকে, নগরীর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার প্রভাবে গত সপ্তাহেই বেগুনের কেজি ১০০ টাকায় উঠেছে। ব্যবসায়ীরা প্রকারভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি করছেন ৭০-১০০ টাকায়। বেগুনের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শসাও। এক কেজি শসা কিনতে ৬০-৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও।

পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে, কিছুদিন আগে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সজনে ডাটার দাম কমে ৮০ টাকায় নেমেছে। সামনে এ সবজির দাম আরো কমবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।

অন্যদিকে মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে রুই ও ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে। পোর্ট রোড এবং চৌমাথা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে রুই মাছের কেজি ছিল ২৬০-৪৫০ টাকার মধ্যে। কিছুদিন আগে ১০০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৬০০ টাকায়। তবে পোর্ট রোডের থেকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা বাজারে প্রতিটি মাছের মূল কেজিতে ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

এদিকে, মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০-১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩১০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩১০-৩৪০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। গত সপ্তাহের ন্যায় সাড়ে ৬শ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে গরুর মাংস। তবে শহরের আশেপাশে কিছু ব্যবসায়ী মাংসের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত রাখছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।


কে আর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন