ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

মার্চে রপ্তানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

মার্চে রপ্তানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

গত বছরের আগস্ট থেকে খরা কাটিয়ে উঠতে শুরু করে রপ্তানি খাত। এরপর প্রায় প্রতি মাসেই বাড়ছে রপ্তানি। এ ধারাবাহিকতায় গত মার্চে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় বেশি হয়েছে ৫৫ শতাংশ। সার্বিকভাবে গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।

রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা আশা করছেন, রপ্তানি আয়ে এ ঊর্ধ্বগতি আগামীতেও অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ হাতে বিশাল পরিমাণ রপ্তানি আদেশ রয়েছে। সক্ষমতার অভাবে সব আদেশ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছরজুড়েই রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

জানতে চাইলে টিইএএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব সমকালকে বলেন, করোনাকালে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, সেটা পূরণেই এখন বেশি হারে রপ্তানি হচ্ছে। কাঁচামালের বর্ধিত মূল্যেরও কিছু অবদান রয়েছে এতে। বৈশ্বিক দুর্যোগ অতিমারি করোনার কোনো ভ্যারিয়েন্টেরই আপতত প্রকোপ নেই। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলায় বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সে পরিস্থিতিরও উল্লেখ করার মতো কোনো প্রভাব নেই দেশের রপ্তানি আয়ে। তার মতে, ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের নেতিবাচক ইঙ্গিত আসেনি।

গতকাল সোমবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মার্চে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৪ শতাংশেরও বেশি এসেছে রপ্তানি আয়। আর গত বছরের মার্চ মাসের তুলনায় রপ্তানি বেশি হয়েছে ১৬৮ কোটি ডলার। ওই মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের গত ৯ মাসে রপ্তানির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৮৬১ কোটি ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ২৬০ কোটি ডলার।

তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৪ শতাংশের মতো। রপ্তানি হয়েছে তিন হাজার ১৪৩ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল দুই হাজার ৩৪৯ কোটি ডলার। রপ্তানি বেড়েছে কৃষিপণ্য, চামড়া ও চামড়া পণ্য, ওষুধ ও হোমটেক্সটাইল পণ্যেও। তবে পাট ও পাটপণ্য, হিমায়িত মাছসহ কয়েকটি পণ্যের রপ্তানি কমেছে।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন