ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

Motobad news

গলাচিপায় বন্দোবস্তের জমি থেকে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

গলাচিপায় বন্দোবস্তের জমি থেকে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভোক্তভোগী কৃষক
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ১৫০ একর জমি দখল পায়তারার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জমি বন্দোবস্ত পাওয়া কৃষক-কৃষানীরা। এসময় বন্দবস্ত পাওয়া জমিতে আবাদ করা ধান বছরের পর বছর লুটপাটের অভিযোগ করেন তারা। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে দাবি ভুক্তভোগী ভূমিহীনদের।

শনিবার সকালে গলাচিপা উপজেলার চিংগুড়িয়া, দক্ষিণ বলইকাঠী, আমখোলা ও দরিবাহেরচর গুচ্ছ গ্রামের ভূমিহীন কৃষকরা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ভূমিহীন কৃষক মৃত মৌজে আলী সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান সরদার বলেন, ‘১৯৯৯/২০০০ সালে ভূমিহীন হিসেবে জমি বন্দোবস্ত পেয়ে সরকার কর্তৃক ২০০২ সালের ২৮ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিল জেলার কানুনগো এবং সার্ভেয়ারের সমন্বয়ে পিলার স্থাপন করে দেয়া হয়। সেই থেকে আমরা ভূমিহীনরা ওই জমিতে চাষাবাদ করে  ফসল ফলিয়ে ভোগ করে আসছি। ২০১৪ সাল থেকে জমি চাষ করতে পারলেও ভূমিদস্যু সিহাব বাহিনীর কারণে চাষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারছি না।

এরপর পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ৬ আগষ্ট এবং একই বছরের ১২ আগষ্ট গলাচিপা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে উভয় উপজেলার সার্ভেয়ার সীমানা নির্ধারন করে দেন। সেই সীমানা পিলার উপেক্ষা করে ভূমিদস্যু সিহাব বাহিনী আমাদের জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। এঘটনায় আমরা সি.আর ৭০৮নং মোকাদ্দমা দায়ের করি। কিন্তু মামলা পরিচালনার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় আদালতে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে জমি চাষাবাদ করে অর্ধেক জমি বীজ বপন করার পর ভূমিদস্যু সিহাব ও তার বাহিনী আমাদের বাধা দেয়। এঘটনায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে দরখাস্ত করলে তার নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নজরুল ইসলাম সরেজমিনে এসে চাষাবাদ করান। তাছাড়া পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহকে বিষয়টি দেখতে বলেন জেলা প্রশাসক। পুলিশ সুপার গলাচিপা থানার ওসিকে ধান কাটার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তবে ১৬৫০ শাতাংশ্য জমির কথা বললেও ওসি মাত্র ১০ শতাংশ জমির ধান উদ্ধার করে দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের আব্দুল মান্নান বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মৃত মনিরুল মীরের ছেলে সিহাব ও মৃত ছত্তার হাওলাদারের ছেলে বশিরসহ তাদের বাহিনী আমাদের উপর দিনের পর দিন জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের বন্দোবস্তের জমি জবর দখলের জন্য এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমরা ভূমিহীনরা সরকারের জমি চাষাবাদ করে ছেলে সন্তান নিয়ে বেচে আছি।

এভাবে নির্যাতন চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। যেখানে সরকারের বন্দোবস্তের জমি সেখানে সিহাব ও তার বাহিনী কিভাবে আমাদের ধান কেটে নেয় ? আমরা এর বিচার দাবি করছি। তবে অভিযোগের বিষয়ে সিহাবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


কেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন