বয়সে ছাড় পাচ্ছেন সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা


দেশে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটির আওয়তায় রাখার পাশাপাশি গুটি কয়েক জনগুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছাড়া হয়নি সরকারি চাকরির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা। এতে নির্ধারিত সময় হারিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের জন্য প্রথমবার বয়স ছাড়ের আবারো তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে।
সূত্র বলছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনার লকডাউনের কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কারো নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের বয়স শিথিলের জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে আবারো নির্দেশনা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান বয়সসীমা ৩০ বছর। আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর প্রযোজ্য। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ দেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব পালন করে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর । জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ২৫ মার্চ ৩০ বছর বয়সীদের পরবর্তী ৫ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন চলছে।
মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, বিধি-নিষেধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীরদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে চেষ্টা করবো। যেই সময় চাকরিপ্রার্থীদের লস হয়েছে, যেই সময় অ্যাডভারটাইজমেন্টটা হওয়ার কথা ছিল, সেই সময়টা ধরেই পরবর্তীকালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বয়স ছাড় দেয়ার ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরো বলেন, যেই সময় ক্ষতি হয়েছে সেই সময় পুষিয়ে দিতে আমরা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেব।
এইচকেআর
