ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

নৌ-দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী পুরাতন ঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি ও নিহত পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সোমবার (৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউনের’ মধ্যেও এত বেশি সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট চলাচলের জন্য ঘাট ইজারাদার, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিআইডাব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর কেউ দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ঘাটে মনিটরিংয়ের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করার দাবি জানান।   

আমাদের দেশের নৌ-পথ দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে বলে দাবি করে মোজাম্মেল হক বলেন, সরকার নৌ-পথের উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও এ খাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতা, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা কারণে নৌ-পথের যাত্রীদের নিরাপত্তা বরাবরই উপেক্ষিত হচ্ছে। একদিকে ‘লকডাউন’ অন্যদিকে কাল-বৈশাখীর এহেন দুর্যোগপূর্ণ ভরা মৌসুমে ০৮-১০ জন যাত্রী যাতায়াতের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট বিহীন ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত সারাদেশে নৌ-পথের এহেন অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে। তাই নৌ-পথে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব অবহেলায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ও আহতদের ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিগত ২০১৮ সাল থেকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত নৌ-পথে ৬০১টি ছোট বড় দুর্ঘটনায় ৭৭৩ জন নিহত, ৯১২ জন আহত ও ১ হাজার ১৬৬ জন নিখোঁজ হয়েছে। পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ১৫৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২৬ জন নিহত, ২৩৪ জন আহত, ৩৮৭ জন নিখোঁজ হয়। ২০১৯ সালে ২০৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১৯ জন নিহত, ২৮২ জন আহত, ৩৭৫ জন নিখোঁজ হয়। ২০২০ সালে ‘লকডাউনের’ মধ্যেও ১৮৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩১৩ জন নিহত, ৩৪২ জন আহত, ৩৭১ জন নিখোঁজ হয়। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে ১৭টি ছোট-বড় নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত, ১৩ জন আহত, ১১ জন নিখোঁজ হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ১৯ জন আহত, ১৭ জন নিখোঁজ হয়। মার্চ মাসে ১০টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত, ১৩ জন আহত, ৩ জন নিখোঁজ হয়। এপ্রিল মাসে ১৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত, ৯ জন আহত, ২ জন নিখোঁজের ঘটনা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।


/ইই
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন