৩৬ মিলিয়ন ইউরো জরিমানার মুখে ফেসবুক


প্রায় ডজনখানেক সমস্যার উল্লেখ করে সোশাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩৬ মিলিয়ন উইরো বা ৪২ মিলিয়ন ডলার জরিমানার প্রস্তাব করেছে আয়ারল্যান্ডের ডাটা প্রটেকশন কমিটি (ডিপিসি)। আজ বুধবার অভিযোগকারীদের পক্ষে প্রদত্ত এক বিবৃতির মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
ডিপিসিকে এখন অবশ্যই প্রাথমিক রায়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব ইইউ তত্ত্ববধায়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে চূড়ান্ত রায় প্রদান করতে হবে, ই্ইউ ডাটা প্রটেকশন আইন ২০১৮ এর অধীনে।
উল্লেখ্য, আইরিশ এই কমিশনই মূল রেগুলেটরি কমিশন যারা ফেসবুক এবং বিশ্বের অন্যান্য বৃহৎ প্রযুক্তি কম্পানিগুলোর ডাটা শাসন করে থাকে।
আর এই অভীযোগটি দায়ের করেছেন অস্ট্রিয়ান প্রাইভেসি অ্যাক্টিভিস্ট ম্যাক্স স্ক্রাম। ফেসবুকের ব্যক্তিগত ডাটা প্রসেসিং-সংশ্লিষ্ট বৈধতা, বিশেষ করে এর পরিষেবার শর্তাবলী ছিল তাঁর অভিযোগের মূল বিষয়।
যেগেতু ফেসবুক যথেষ্ট তথ্য প্রদানে অসমর্থ হয়েছে তাই তাদের বিরুদ্ধে ২৮ থেকে ৩৬ মিলিয়ন ইউরো জরিমানার প্রস্তাব দিয়েছে ডিপিসি। তারা বলছে, লঙ্ঘনগুলো গুরুতর এবং স্বচ্ছতার অভাবের জন্য ফেসবুকের সমালোচনা করেছে।
তবে ফেসবুকের তরফে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্ক্রাম এই গবেষণার সমালোচনা করে বলেন, গ্রিনলাইটিং করে ফেসবুক ইইউ এর জিডিপিআর গোপনীয়তার নিয়মকে পাশ কাটিয়ে বিজ্ঞাপন এবং অনলাইন ট্র্যাকিংয়ের মতো ক্ষেত্রগুলোর নিয়ম ও শর্তাবলীতে স্থানান্তর করে।
ডিপিসির একজন মুখপাত্র বলেন, খসড়া সিদ্ধান্তটি অন্যান্য তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রক্রিয়া চলমান থাকায় আর কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপকে গত মাসে আইরিশ রেগুলেটর কর্তৃক রেকর্ড ২২৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল যখন ইইউ প্রাইভেসি ওয়াচডগ অন্যান্য তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের সমালোচনার পর ডিপিসিকে জরিমানা বাড়াতে চাপ দেয়।
অন্যান্য নিয়ন্ত্রকদের অনুরূপ হস্তক্ষেপের পর ডিপিসি টুইটারকে ৪৫০০০০ ইউরো জরিমানা করে। জিডিপিআর নিয়মের অধীনে তার প্রথম অনুমোদন পাওয়া গেছে।
এমবি
