বাউফলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ, আহত ২৫
.jpg)

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ঘ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে দক্ষিণ চর মিয়াজান ইবতেদায়ী মাদরাসার দক্ষিণ পাশে ওই ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মোসা. আকলিমা বেগম ( ২০), মো. কালু হাওলাদার (৪০) ও মো. জিয়াউর রহমানকে (৩০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ১৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকলেও চন্দ্রদ্বীপ ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী (মেম্বার) মো. কামাল হোসেন সিকদার (৩৮) ও মো. বাবুল হাওলাদারের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল।
আজ সকালে বাবুলের সমর্থক মো. নাসির খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চর মিয়াজান ইবতেদায়ী মাদরাসার দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে তাঁর সঙ্গে কামালের সমর্থক মো. কালু হাওলাদারের (৪০) সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের চার নারীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আকলিমা বেগম ( ২০), মো. কালু হাওলাদার (৪০) ও মো. জিয়াউর রহমানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাইফুল ইসলাম (২৭), মো. ইউসুফ মৃধা (৩০), মো. সোহেল (৩৫), মোসা. হাসান দর্জি (২২), মো. নাসির খান (৪৫) মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০), মো. কামাল হাওলাদার (২২), মো. আবু কালাম (৪০) মোসা. তাসলিমা বেগম (১৮), মোসা. লাইলি বেগম (২৪), মোসা. সালমা বেগম (২২), মো. হাসান খন্দকার (২২), মো. বেল্লাল বেপারি (১৯) ও আবদুস ছালাম হাওলাদার (৬০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. কামাল হোসেন সিকদার অভিযোগ করেছেন,‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সমর্থকের বাড়িতে প্রতিদ্বন্ধি অপর প্রার্থী বাবুল হাওলাদারের সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। ওই সময় সাতটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে বাবুল হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন,‘তিন দিন আগে আমার মা মারা গেছেন। তাই ঘরে শুয়ে ছিলাম। এর মধ্যে ১১ টার দিকে দেখতে পাই আমার ছেলে জিয়াউরকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় আমার কয়েক সমর্থক বাড়িতে নিয়ে এসেছে। শুনেছি আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী কামাল ও তাঁর লোকজন ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি ছেলেকে নিয়ে বরিশালে আছি। এর বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারবো না।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন বলেন,‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টিএইচএ/
