ভান্ডরিয়া হাসপাতালে এসে পৌঁছাল পাঁচটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর


পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা হাসপাতালে পৌঁছাল পাঁচটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর । ১০বেডের একটি আই.সি.উ ইউনিট স্থাপনের জন্য আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত এ পাঁচটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর উপজেলা হাসপাতালে এসে পৌঁছালে তা গ্রহন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম, জাতীয় পার্টি-জেপির উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মো. গোলাম সরওয়ার জোমাদ্দার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রশিদ খশরু জোমাদ্দার,হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আর.এম.ও) ডাঃ বেল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায় জানান, এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পার্শবর্তী মঠবাড়িয়া,পাথরঘাটা,বামনা,কাঠালিয়া,রাজাপুর ও কাউখালী উপজেলার সংযোগস্থানে অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নত হওয়ায় এটি একটি রিমোর্ট এলাকায় হওয়ায় এখানে তুলনা মূলক ভাবে বেশি রোগী আসেন।
তা ছাড়া বৈশ্বিক উচ্চ পর্যায়ের করোনা সংক্রামন ভাইরাস(কভিড-১৯)এর প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউ মহামারি আকারে ধারন করায় এবং এ হাসপাতালে বিনামূল্যে মাত্র ১ঘন্টায় যক্ষ্ণা ও করোনা পরীক্ষার ফলাফলের সুবিধা পাওয়ায় রোগীর চাপ বেশি থাকে। করোনা সংক্রামনে ইতো মধ্যে দুই স্বাস্থ্য কর্মী,একজন সরকারি কর্মকর্তা,একজন সংবাদকর্মী সহ ৮/১০জন আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে এ উপজেলার একজন পার্শ্ববর্তী কাঠালিয়া উপজেলার এক জন সহ দুই জন মারা গেছে।
আক্রান্ত রোগীর সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ১০বেডের একটি আই.সি.উ ইউনিট স্থাপনের জন্য চলতি মাসের ৬তারিখ একটি চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ল পাঠালে স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি এর বিশেষ তৎপরতায় এবং বিশেষ ব্যাবস্থায় আজ (১৪এপ্রিল) ৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাওয়ায় খুবই উপকার হয়েছে।
এ সময় তিনি আরো জানান,এ হাসপাতালটি সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রয়াত মো. নাসীম সাহেব এটি ১০০সজ্যায় উন্নিত করার পর অবোকাঠামোত কাজ প্রায় সমাপ্তের পথে। স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট অতি দ্রæত প্রয়োজনীয় জনবল সহ ১০বেডের একটি আই.সি.উ ইউনিট স্থাপন এবং শিশু,হার্ড,গায়নী,মেডিসিন,ডেন্টাল কলসানটেন্ট সহ প্রয়োজনীয় জনবল পেলে উল্লেখিত উপজেলা গুলোর যে কোন রোগীকে অধিক ব্যায়ে খুলনা বা বরিশাল যেতে হবেনা।
এইচকেআর
