আমতলী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী চাষের লাঙ্গল
_01_AGUST.jpg)

বরগুনার আমতলী উপজেলায় শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে জমির বিভিন্ন ফসল থেকে। উপজেলার বৃদ্ধ কয়েকজন কৃষক জানান, আগের দিনে আমতলী উপজেলার কৃষকরা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে পান্তা ভাত আর কাঁচা মরিচ খেয়ে গরু ও লাঙ্গল নিয়ে মাঠে যেতেন জমি চাষ করার জন্য।
কৃষকরা ভাটিয়ালী গান গাইতেন আর গরু ও কাঠের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতেন। তখন মধু বাতাস বইতো চাষীদের শরীরে। মনে ছিলো অনেক আনন্দ, ছিলো না কোন দুশ্চিন্তা।
সারাদিন জমি চাষ করে সন্ধায় খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেন কৃষকরা। কোন প্রকার সার-ওষুধ ছাড়াই জমিতে হরেক রকমের ফসল ফলতো। এক যুবক কৃষক বলেন, গরু ও কাঠের লাঙ্গল দিয়ে চাষ করলে ঐ মাটিতে ফসল ফলানোর উপযোগী হতো। যদিও ফলন ছিলো কম, কিন্তু স্বাস্থ্য সম্মত ফসল উৎপাদন হতো। বর্তমানে কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে সার-ওষুধ ছাড়া ফসল ফলানো সম্ভব নয়।
এই কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করায় মাটির শক্তি আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকের কাঁধে আর সেই লাঙ্গল এবং চাষে ব্যবহৃত গরুও দেখা যায়নি। এখন ফসল ফলাতে সময় মতো জমিতে সেচ, সার ও ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী গরুর লাঙ্গল আজ হারিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে জমি চাষ করায় জমির নিচের অংশ উপরে ওঠে না। তাতে মাটির উর্বরতা কমে যায়। তাই সার-ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। মাটির শক্তি বৃদ্ধি পেতে গরুর লাঙ্গল উপযোগী।
এমবি
