ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

আমতলী থেকে বিলুপ্তির পথে বাঁশ-বেতের শিল্প

আমতলী থেকে বিলুপ্তির পথে বাঁশ-বেতের শিল্প
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীতে এক সময়  বাঁশ ও বেত দিয়ে  দিয়ে ঘরের কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র তৈরি করা হতো। এসব জিনিসপত্রের কদরও ছিল ভালোই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং প্লাস্টিক মার্কেট দখল করে নেওয়ায় এ শিল্প বিলুপ্তির পথে। 

পুঁজি, উদ্যোগ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পেশা পরিবর্তন করছেন অনেকে। তবে বাঁশ-বেতের শিল্পের দুর্দিন কাটিয়ে সুদিন ফিরিয়ে আনতে নেই কোনও সরকারি উদ্যোগ।  এলাকার বাসিন্দারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘৮০ দশকে এই এলাকায়  প্রচুর বাঁশ জন্মাতো। এসব বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি, ধান রাখার গোলা,সবজি রাখার পাত্র তৈরি করা হতো। 

উপজেলার হলদিয়া চাওড়া, আমতলী সদর, গুলিশাখালী,  আড়পাঙ্গাশিয়া, কুকুয়া, আঠারগাছিয়ার ইউনিয়নেরএকাধিক গ্রামে বাঁশ ও বেতের কাজ হতো।  এক সময় বিভিন্ন জাতের বাঁশ জন্মাতো এ এলাকায়। এ বাঁশ দিয়েই বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো স্থানীয়রা। গুলিশাখালী  ইউনিয়নের সুজন মাঝী ৭০ বলেন,ধানি জমি, বসত-বাড়ি গড়ে ইটভাটায় ব্যবহারের ফলে  উজাড় হয়ে গেছে বাঁশ ঝাড়। 

বাঁশের কম উৎপাদনই এ শিল্প হারিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে মানতে নারাজ এ শিল্পের কারিগররা। বাঁশের তৈজসপত্র তৈরি কারিগর মফিজ বলেন,‘ঋণ,পুঁজি,বাঁশ ও বেতের স্বল্পতার মাঝেও পেশা ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  এক সময় আমি কুলা,খাঁচা,চালনি,চাটাই,ঢোল,ওড়া,ঝুঁড়ি,ডুলা,মোড়া প্রভৃতি বাঁশজাত পণ্যে তৈরি করতাম। বড় ও মাঝারি সাইজের বাঁশ আগে ১০০-১৫০ টাকায় কেনা যেতো। আর এখন সেই বাঁশ সাড়ে ৩০০-৪০০ টাকা দামে কিনতে হয়। 

একটি বড় বাঁশ দিয়ে ৬টি খাঁচা তৈরি করা যায়। তবে এতে করে কারিগরদের বেতন-ভাতা দিয়ে মুনাফা অর্জন একেবারেই সম্ভবপর হয় না।’  এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম  বলেন, ‘বাঁশ ও বেত শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। 

কিন্তু সরকারিভাবে কোনও উদ্যোগ এবং বাজেট না থাকায় শিল্পের কারিগর ও উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারছি না।  আমতলী উপজেলা নির্বাহীঅফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যদি সরকারিভাবে বাঁশ বেতসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য বাজেটের ব্যবস্থা করা যায়  তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে  ব্যবস্থা নিতে বলবো।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন