গ্রামীণফোনকে হুমায়ূন পরিবারের আইনি নোটিস


বাণিজ্যিক প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদের দর্শকপ্রিয় চারটি ধারাবাহিক নাটকের চারটি চরিত্র ব্যবহার করায় মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে গ্রামীনফোনকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, মেয়ে নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ, ছেলে নূহাশ হুমায়ুন ও ভাই জাফর ইকবালের পক্ষে নোটিসটি পাঠিয়েছেন তাদের আইনজীবী হামিদুল মিজবাহ।
সোমবার ইমেইলে নোটিস পাঠানোর পর মঙ্গলবার তা আবার রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী।
নোটিসের প্রাপ্তিস্বীকার করে এরই মধ্যে আলোচ্য বিষয়বস্তুগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত বছর জুলাইয়ে ফেসবুক পেজ ও ইউটউব চ্যানেল থেকে ‘কেমন আছেন তারা?’ শীর্ষক কয়েক পর্বের একটি ধারাবাহিক বাণিজ্যিক প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে গ্রামীণফোন।
অনুষ্ঠানটিতে লেখক, নির্মাতা হুমায়ুন আহমেদের দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’র ‘বাকের ভাই’, অয়োম’র ‘এলাচি বেগম’, বহুব্রীহি’র ‘সোবহান সাহেব’ ও ‘উড়ে যায় বক পক্ষী’ ধারাবাহিক নাটকের ‘তৈয়ব আলী’ চরিত্রটিকে ব্যবহার করা হয়।
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে ‘বাকের ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর’, অয়োময়-এ ‘এলাচি বেগম’র চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন সারা যাকের, বহুব্রীহি’র ‘সোবহান সাহেব’র চরিত্রে ছিলেন আবুল হায়াত ও ‘উড়ে যায় বক পক্ষী’ ধারাবাহিকে ‘তৈয়ব আলী’ চরিত্রে অভিনয় করেন ফারুক আহমেদ।
হুমায়ুন আহমেদের পরিবারের সদস্য বা উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে সম্মতি না নিয়ে গ্রামীনফোন এসব চরিত্র ব্যবহার করেছে বলে নোটিসে অভিযোগ করা হয়।
“চারটি চরিত্র ব্যবহার করা পর্বগুলো ৩০ লক্ষ বারের বেশি ভিউ হয়েছে। প্রচলিত আইনে এই ধরনের ব্যবহারে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রামীণফোন তা করেনি। এতে মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘন হয়েছে।”
এমবি
