ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

পোষা-প্রাণীদের নির্মম মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ জয়া 

পোষা-প্রাণীদের নির্মম মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ জয়া 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন দুই বাংলার শীর্ষ অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিযোগের আঙুল তাক করলেন রাজধানীর অন্যতম পশু-পাখির বাজার কাঁটাবনের দিকে। 

প্রশ্ন তুলেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের মানসিকতার প্রতি। বললেন, ‘যারা এসব পোষা-প্রাণীদের এনে বাজার বসিয়েছেন, তাদের মনে কি দয়া-মায়া নেই? মায়া যদি নাও থাকে, আইনের প্রতি ন্যূনতম কোনও শ্রদ্ধা নেই?’


খবরে প্রকাশ ১ জুলাই থেকে যে লকডাউন হলো তাতে ঢাকার কাঁটাবনের পোষা প্রাণীর বাজারে অনেকগুলো পশু-পাখি নির্মম মৃত্যুর শিকার হলো। কারণ পুরো লকডাউনে দোকানীরা তাদের দোকানপাট রুদ্ধ করে রেখেছিলেন। আলো–বাতাসহীন দমবন্ধ অন্ধকারে ৪০০ পাখি আর ডজনের পর ডজন কুকুর, বেড়াল, খরগোশ, গিনিপিগ তড়পাতে তড়পাতে মারা গেছে।

মূলত এমন খবরেই খেপেছেন জয়া আহসান। যিনি নিজেও চলমান মহামারির দেড় বছরে বহুবার রাস্তায় নেমেছেন কুকুর-বেড়ালদের খাবার সংস্থানের জন্য। এছাড়া বরাবরই প্রাণী হত্যা ও অবহেলা ইস্যুতে প্রতিবাদ জানান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। বোর সেই প্রতিবাদের আগুন জ্বালালেন কাঁটাবনে।

 বললেন, ‘করোনা মহামারির দুঃসহ এই সময় আমাদের প্রত্যেকটি পরিবারের মধ্যেই কোনও না কোনও অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। প্রায় সবার মধ্যে তাজা ক্ষত আছে। মানুষের কষ্টের কোনও সীমা নেই। তারসঙ্গে এই প্রাণী হত্যার খবরগুলো নতুন রক্তক্ষরণের কারণ হয়ে দাঁড়ালো।’

জয়া মনে করেন কাঁটাবনে সম্প্রতি যে পশু-পাখি মারা গেছে তা নিতান্তই মালিকদের অবহেলা ছাড়া আর কিছু নয়। তার ভাষায়, ‘‘পোষা প্রাণীর কারবারে নেমেছেন, কিন্তু ‘প্রাণীকল্যাণ আইন ২০১৯’–এ প্রাণীদের প্রতি যেসব সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, তা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা তাদের নেই?’’

জয়ার অসহায় জিজ্ঞাসা, ‘যে প্রাণীগুলো মর্মান্তিকভাবে মারা গেল, তার দায়ভার কেউ নেবে না? এখানে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ও দায়ী দোকান মালিকদের অবশ্যই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া দরকার। প্রাণীকল্যাণ আইনের সম্পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। না হলে এ বাজার তুলে দেওয়াই কর্তব্য। প্রাণ–প্রকৃতির প্রতি আমরা আর কবে সংবেদনশীল হবো!’

জয়া ভক্তরা জানেন নিশ্চয়ই, তিনি নিজেও সবচেয়ে আদরে লালন-পালন করেন তার পোষা কুকুর ক্লিউপেট্রাকে। ক্লিওকে তিনি নিজের আপন ছোটবোন হিসেবে দাবি করেন সবসময়।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন