মাইক হাতে অবিরাম ছুটে চলছেন ইউএনও


পিরোজপুরের নেছারাবাদে করোনাকালীন জনসাধরনদের মধ্য সচেতনতা বাড়াতে মাইক হাতে অবিরাম ছুটে চলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে তার এমন কর্মব্যস্ততা । স্বরূপকাঠি পৌর শহরের অলিগলি থেকে ইউনিয়নের সর্বত্রই চলাচ্ছেন জনসচেতনামুলক প্রচারনা ।
শুধু প্রচারনায়ই শেষ নয়, করোনায় কর্মহীন অসহায়দের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার, দিচ্ছেন মাস্ক। বিধিনিষেধ পালনে আইন প্রয়োগে কখনো হচ্ছেন বিনয়ী, প্রয়োজনে দিচ্ছেন দন্ড। লকডাউন বাস্তবায়নে এমনিভাবেই প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইউএনও মো. মোশারফ হোসেন।
উপজেলার দক্ষিণ কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. রফিক বলেন, এই মহামারি করোনাকালীন সময়ে ইউএনও স্যারের দায়িত্ব পালন দেখে আমি অভিভূত। সবার মাঝে স্বাস্থ্যবিধি পালনে হ্যান্ড মাইক হাতে তার অভিরাম ছুটে চলা নি:সন্দেহে প্রশংসা রাখে।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, এই মহামারি করোনাকালীন সময়ে ইউএনও মহোদয় খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন। নি:সন্দেহে করোকালীন তার ক্লান্তহীন দায়িত্ব প্রশংসার দাবিদার। নিজের জীবনের ঝুঁকির কথা না ভেবে প্রতিনিয়ত মানুষের মধ্য সচেতনতা সৃষ্টিতে উপজেলার সর্বত্র ছুটে চলছেন। তিনি আরো বলেন ইউএনও যদি দায়িত্ব পালনে একটু ঢিল দেন তাহলে আমার মনে হয় মানুষকে বিধিনিষেধ পালন করানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
জানা যায়, মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালিন অবস্থায় ২০২০ সালের ১৯ মে নেছারাবাদ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেন মো. মোশারফ হোসেন। চেয়ারে বসেই তার যুদ্ধ শুরু হয় করোনার বিরুদ্ধে।
মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখলেই জানান দেন সচেতনতার কথা। প্রয়োজনে হুশিয়ারী। প্রতিনিয়ত প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই গাড়ি নিয়ে কখনো বা পায়ে হেটে বের হন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কখনো হচ্ছেন কঠোর কখনো বিনয়ী। নিজের বা পরিবারের কথা না ভেবে এ অকুতভয় করোনা যোদ্ধা করোনার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
এই অবিরত দায়িত্ব পালনে জন্য তিনি গত ১৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে আইসোলেশনে ছিলেন। পুনরায় টেষ্ট করিয়ে শরীরে করোনা নেগেটিভ আসা মাত্রই উপজেলাবাসীকে রক্ষার জন্য আবার নেমে নেমে পড়েন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারফ হোসেন বলেন, যা করছি এটা আমার দায়িত্ব। কাজকে সর্বদা নিজের সঙ্গি মনে করে মনে প্রাণে দায়িত্ব পালন করছি। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে কখনো নিজের বা নিজের পরিবারের কথা ভাবিনা। এখানে দেশকে ভাবাটাই প্রধান কাজ।
এইচকেআর
