পিরোজপুরে চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ্যাড. শ. ম. রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও অনাহারে, চিকিৎসাহীন, গৃহহীন হয়ে মারা যাবে না। আমরা অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি এর পূর্বে আমাদের সুপার সাইক্লোন বুলবুল এসেছিল, বন্যা এসেছিল। আমরা নানাভাবে প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেছি সর্বশেষ আমাদের যে কোভিড-১৯ তাতেও আপনাদের পাশে আছে সরকার। শেখ হাসিনার কাছে কিন্তু ধনী-দরিদ্রের ভিতরে কোন ব্যবধান নাই।
মন্ত্রী আরো বলেন, আত্মবিশ্বাস থাকবেন শেখ হাসিনার হাতে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে, সুস্থ থাকলে আপনারাও ভালো থাকবেন। ধনী-দরিদ্র ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষই নিরাপদ থাকবেন। চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমরা পিরোজপুরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি। পিরোজপুরে কেউ যাতে অসুস্থ হলে বাইরে যেতে না হয় তার ব্যবস্থা শিঘ্রই করবো। পিরোজপুরে অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় আমরা সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ নানা অক্সিজেনের কোন অভাব রাখি নাই। যাতে আমার পিরোজপুরের কোন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় যেনো কোন ঘাটতি না থাকে। আমাদের জেলা হাসপাতালের কাজ চলছে। যেটির কাজ শেষ হলেই পিরোজপুরবাসী অনেক নতুন সুবিধার মুখ দেখবে। পিরোজপুরে ২ টি আধুনিক এ্যাম্বুলেন্স আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে পৌছে যাবে। যা জেলার এ্যাম্বুলেন্স সেবায় নতুন মান যোগ করবে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের সময় লক্ষ রেখেছিলেন এদেশের একটি মানুষও যেনো অন্য, বন্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোন সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। সেজন্যই তিনি তার জীবনের স্বপ্নের রঙিন সময়টা কারার অন্ধকারে কাটিয়েছেন। ফাঁসির হুকুম হওয়ার পরও তিনি কিন্তু বাঙালী জাতির অধিকারের সঙ্গে আপোষ করেননি।
পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চৌধুরী রওশন ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আ. জা. মোঃ মাসুদুজ্জামান, জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মজনু তালুকদার প্রমুখ।
এসময় করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ জেলার ১ শত ৫০ পরিবহন শ্রমিক, ১ শত ৫০ অটোচালক, ২ শত ৩৫ দোকান কর্মচারী, নরসুন্দর, সুইপার, ধোপা এবং হোটেল শ্রমিকসহ মোট ৬ শত ৭৫ ব্যাক্তির মাঝে পিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার (মানবিক সহায়তা) প্রদান করা হয়েছে।
এইচকেআর
