বাউফলে অটো চালককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ২


পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলে মো. জামাল হোসেন মৃধা (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাঁকে গত মঙ্গলবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নওমালা বড় সেতুর পশ্চিম পাশে ওই ঘটেছে। জামাল উপজেলার বাহির দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসাহাক মৃধার ছেলে। পেশায় তিনি ভাড়ায় চালিত অটোগাড়ির চালক।
আহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,প্রায় তিন মাস আগে বাহির দাশপাড়া গ্রামের মো. বাবুল (৫০) ও মো. আনছার ফরাজির (৪৮) মধ্যে মারামারি হয়। ওই মারামারির সময় জামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি মারামারি থামাতে গিয়ে আহতও হয়েছিলেন। এতে জামাল হোসেনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বাবুল।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে নওমালা নগরের হাট এলাকা থেকে অটোগাড়ি চালিয়ে দাসপাড়া চার রাস্তার মোড় (চৌমহনী) এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন জামাল। সাড়ে সাতটার দিকে নওমালা বড় সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছালে বাবুলের ছেলে মো. হাসানের (২২) নেতৃত্বে চারজনের একটি দল অটোগাড়ির পথরোধ করে।পরে জামালকে নামিয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন জামালকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানার জন্য মো. হাসানের মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর বাবা মো. বাবুল বলেন,‘ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর ছেলে জড়িত না।’ কে বা কারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
এইচকেআর
