মালয়েশিয়ায় নানা সংকটে প্রবাসী বাংলাদেশিরা, ফিরতে চান দেশে


করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় খাদ্যসহ নানা সংকটের মধ্যে পড়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি।
উন্নত জীবন আর আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি পাড়ি জমান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায়। কারো কারো প্রত্যাশা পূরণ হলেও অনেকের কাছে সেই স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই। করোনার বৈশ্বিক মহামারির প্রভাবে খাদ্যসহ নানা সংকটের মধ্যে পড়ে এখানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি। সেই সঙ্গে চাকরি হারিয়ে অনেকে দেশেও ফিরে আসতে পারছেন না। মালয়েশিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় দেশে ফিরতে পারছেন তারা।
দেশটিতে অবৈধদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও চলমান রয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগের ধরপাকড় অভিযান। এমন পরিস্থিতিতে দু'দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশটিতে থাকা প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের বৈধকরণের মেয়াদ বাড়ালেও বাংলাদেশিদের কাছে হঠাৎ করেই যেন 'সোনার হরিণ' হয়ে উঠেছে পাসপোর্ট। নবায়নের জন্য আবেদন করে অনেকে ৫-৬ মাসেও পাচ্ছেন না নতুন পাসপোর্ট। ফলে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা অবৈধ থাকার ঝুঁকিতেই থাকছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশিসহ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার সময়সীমা বাড়ায় দেশটির সরকার। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানির মালিকদের মাধ্যমে এ সুযোগ নিতে পারবেন শ্রমিকরা। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, বৈধ হওয়ার সুযোগ নিয়ে ধরপাকড় এড়াতে পারবেন প্রবাসীরা।
গত কয়েকদিন ধরে মালয়েশিয়ায় চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। দেশটিতে অভিবাসী বৈধকরণের শেষ দিন ছিল ৩০ জুন। কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার অভিযানে নামে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এতে অন্তত দুই শতাধিক বাংলাদেশি আটক করা হয়।
তবে সুখবর আসে বৃহস্পতিবার। দেশটির অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া চলবে। কর্মরত কোম্পানির মালিকদের মাধ্যমে এ রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির মাধ্যমে বৈধ হওয়ার সুযোগ নিতে পারবেন শ্রমিকরা।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার জানান, টানা লকডাউন আর বিভিন্ন জটিলতার কারণে অনেকেই এ বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় আবেদনের আওতাভুক্ত হতে পারেননি। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এসেছে নতুন এ সিদ্ধান্ত।
এইচকেআর
