ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের ওপর স্বেচ্ছাসেবক দলের হামলা, লুটপাট

ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের ওপর স্বেচ্ছাসেবক দলের হামলা, লুটপাট
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধূলিয়া ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণকালে হামলা করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তিন জেলে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আল আমিন (৩৫) নামের একজনকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভিডিও করতে গেলে এক সংবাদ কর্মীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। 

জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ১০০০ নিবন্ধিত জেলের মাঝে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ৪০ কেজি করে মোট ৮০ কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর ২টার দিকে আল-আমিনসহ কয়েকজন জেলে চাল আনতে গেলে তাদের প্রত্যেককে ৫০ কেজির একবস্তা করে চাল দেওয়া হলে তারা ৮০ কেজি চাল দাবি করেন।

এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম সিকদার তারেকের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন তাদের উপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে জেলেরা চাল ফেলে রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যান। মারামারি ও চালের বস্তা লুটপাটের দৃশ্য ভিডিও করার সময় হুজাইফা ইসলাম নামের এক সংবাদ কর্মীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম সিকদার তারেকের ছোট ভাই নাহিদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সদস্য বলেন, জেলেদের চাল কম দিয়ে প্রায় ১২০ বস্তা চাল তারেক ও তাঁর লোকজনে লুটপাট করে নিয়েছেন।

তবে তালিকাভূক্ত যেসব জেলে এ অনিয়ম নিয়ে কথা বলছেন তাদের বাড়িতে ৮০ কেজি চাল পৌঁছে দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্রটি।

আহত জেলে আল আমিন বলেন, চাল নেওয়ার ৪ থেকে ৫দিন আগ থেকে প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে চাল বিতরণের খরচের নামে ২০০ করে নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মেম্বারদের মাধ্যমে এ টাকা নেওয়া হয়। ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জহির উদ্দিনের নির্দেশে এ টাকা নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর তার বাড়িতে ৬০ কেজি চাল পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান জহির সরদার বলেন, পরিষদের সামনে কারো সাথে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মারামারি হতে পারে। কিন্তু চাল বিতরণ নিয়ে কোনো মারামারি হয়নি। প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আমাকে হেনস্তা করার জন্য কোনো মহল পরিকল্পিতভাবে এটি ছড়িয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণ চাল বিতরণ করা হয়েছে। কাউকে চাল কম দেওয়া হয়নি। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম সিকদার তারেককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 
 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কিছু সময় আমি ওখানে ছিলাম। তখন কোনো অনিয়ম চোখে পরেনি। আপনি প্যানেল চেয়ারম্যান জহিরের সাথে কথা বলেন। কোন ঘটনা হয়ে থাকলে তিনি বলতে পারবেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন