রাজাপুর থানায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে মানববন্ধন


ঝালকাঠির রাজাপুরে থানায় বসে সাংবাদিক ও ইউপি সদস্য মাঈনুল ইসলাম টুটুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইউপি সদস্যরা। রোববার সকালে থানার সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সদর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন মাতুব্বর ও ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম। এএসআই মাহবুবের প্রত্যাহার দাবি করে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি মারামারির ঘটনা জনপ্রতিনিধি হিসেবে জানতে শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে থানায় যান দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মাঈনুল ইসলাম টুটুল। টুটুলকে কোন তথ্য না দিয়ে উল্টো ক্ষেপে যান এএসআই মাহাবুব। এক পর্যায়ে এএসআই মাহাবুব শারীরিকভাবে সাংবাদিক টুটুলকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মাঈনুল ইসলাম টুটুল রাজাপুর প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও দৈনিক ভোরের কাগজের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি। এদিকে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যার পরেই থানার সামনে এএসআই মাহাবুবের প্রত্যাহার দাবিতে স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা বিক্ষোভ করে আল্টিমেটাম দেন। বিক্ষোভে সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, রাজাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রাজাপুর প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান খান।
মাঈনুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমি সাংবাদিকতার পাশাপাশি নির্বাচনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। স্থানীয় একটি মারামারি ঘটনা জানতে আমার ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে থানায় গিয়ে ঘটনা জানার জন্য এএসআই মাহাবুবকে জিজ্ঞেস করি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই মাহাবুব বলেন, ঘটনার সময় থানার ভেতরে উভয় পক্ষই উত্তেজিত ছিলো। উভয় পক্ষকে শান্ত করেছি, এ সময় হয়তোবা তাঁর গায়ে ধাক্কা লাগতে পারে। তাকে মারধর করা হয়নি।
এইচকেআর
