ঝালকাঠির বাজারে দ্বিতীয় দিনের মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছে বিক্রেতারা


ঝালকাঠির বাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবারও সবধরণের মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছে বিক্রেতারা। শহরের বাজারে দুই দিন ধরে সংকট তৈরি হয়েছে মুরগির। ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালীসহ কোনো জাতের মুরগিই মিলছে না বাজারে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এদিকে মুরগির সংকট দূর করতে একটি খামার থেকে মুরগি এনে শহরের চাঁদকাঠি বাজার এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট দাঁড়িয়ে থেকে সরকার নির্ধারিত দামে মুরগি বিক্রি করিয়েছেন।
ব্রয়লার ও সোনালী দুইশ মুরগি এসময় বিক্রি করা হয়। ব্রয়লার ১৭৫ টাকা এবং সোনালী প্রতিকেজি ২৬২ টাকা করে বিক্রি করেন এক খামারী। এতে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও, অনেকেই মুরগি না পেয়ে ফিরে গেছেন।
বিক্রেতারা জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দামের কারণে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি পাইকারি বিক্রি করছেন না খামারের মালিকরা। তাই বাজারের দোকানগুলোতে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
পাইকারি যে দামে মুরগি কেনা হয়, প্রশাসন তার চেয়েও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলেও জানান বিক্রেতারা। তাই আপাতত মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বিক্রেতারা।
মুরগির খামারিরা জানান, মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। এদিকে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তাই কম দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, অল্পদামে ব্রয়লার মুরগি সকল ক্রেতারই ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বিক্রেতারা বাজারে মুরগি উঠাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। মুরগি কিনতে গিয়ে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই মুরগি বিক্রি করতে হবে, বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠির কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, মুরগিসহ ২৯টি কৃষি পণ্যের দাম ভোক্তা পর্যায়ে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বেশি দামে বিক্রি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার একটি খামার থেকে দুইশ মুরগি এনে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়েছে।
এইচকেআর
