ঝালকাঠিতে হাট-বাজার ও খেয়াঘাট ইজারায় অনিয়ম


ঝালকাঠি পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডের হাট-বাজার, খেয়াঘাটসহ ২১টি মহলের ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চুপি চুপি দরপত্র বিক্রি করায় ইজারায় অংশ নিতে পারেনি মূল ধারার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটায় পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) শাহিন সুলতানার কক্ষে দরপত্র খোলা হয়। তবে এ সময় দরপত্র দাতা কাউকেই দেখা যায়নি।
একাধিক ইজারাদার জানান, পৌরসভার নোটিশ বোর্ডে দরপত্রের নোটিশ টানানো হয়নি। এই দরপত্রের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই ছিলো গোপন।
যারা অংশ নিয়েছে তাঁরা মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের সাজানো লোকজন। যে কারনে ইচ্ছুক দরপত্র দাতারা অংশ নিতে পারেনি। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মুঠোফোনে কথা হয় পৌরসভার পাঁচজন কাউন্সিলরের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, অনিয়মের বিষয়ে মেয়রকে জানিয়েছি। আমরা নিজেরাই এই টেন্ডারের খবর জানি না। কারা মহলগুলো গুছ করছে, তা আমাদের জানা নেই। একমাত্র মেয়র জানেন কারা নিচ্ছে মহলগুলো।
ইজারা দরপত্রে গোপনীয়তা কেন তা জানতে চাইলে পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, সব কিছুই আমি জানি কাগজ কলমে আমরা সঠিক ছিলাম, আমাকেও কয়েকজন কাউন্সিলর ফোন করে ক্ষোভ জানিয়েছেন। যদি এ বিষয় কোন অনিয়ম হয়, তাহলে পুণঃ দরপত্র আহবান করা হবে।
সোমবার দরপত্র খোলার নির্ধারিত সময় ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন সুলতানার কক্ষে গিয়ে দেখা যায় তিনি এবং নির্বাহী প্রকৌশলী অলক সমদ্দার দরপত্র খুলে তালিকা ভুক্ত করছেন।
দরপত্র খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন না সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি ঝালকাঠি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মহিন উদ্দিন। তবে কি পরিমান দরপত্র জমা পড়েছে সে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলী। তাদের কাছে দরপত্র সংক্রান্ত তথ্য চাইলে তাঁরা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন সুলতানা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। কি পরিমান দরপত্র জমা পড়েছে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনদিন অপেক্ষা করতে হবে। এর বাইরে কোন তথ্য দিতে নারাজ তাঁরা।
এইচকেআর
