রাজাপুরে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মাদ্রাসা সুপার লাঞ্ছিত, কাগজপত্র ছিনতাই


ঝালকাঠির রাজাপুরে পূর্ব পুটিয়াখালী দারুচ্ছালাম ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষসহ ৩ পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে তুলে স্থানীয়রা নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে অধ্যক্ষ মুস্তাকিম বিল্লাহকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করায় এ সিদান্ত নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় চাকরি প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যথাযথ ভাবে সকল প্রার্থীদের এডমিট সরবরাহ না করে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে তার পছন্দের কয়েকজনকে ফোনে জানিয়ে তাদের নিয়ে শুক্রবার সকালে পরীক্ষার আয়োজন করে।
স্থানীয়রা চাকরিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয়দের নিয়ে এর প্রতিবাদ করে সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবগত করেন। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, উপাধ্যক্ষ পদে ৫ জন, অফিস সহকারি কাম কমিপউটার অপারেটর পদে ২৬ জন ও আয়া পদে ৪ জনে আবদন করে।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল বিধি মেনে শুক্রবার সকাল ৯ টায় পরীক্ষার আয়েজন করা হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুস্তাকিম বিল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ডাকে সকলের পরীক্ষার এডমিট পাঠানো হয়েছে।
তারপরেও পিয়ন দিয়ে সকলকে ফোনে জানানো হয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পেছনের তারিখ দেখিয়ে আবেদন করতে চায় এবং তাদের অনৈতিক পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের আবদার না রাখায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অধ্যক্ষ অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকালে মাদ্রাসায় আসার পথে স্থানীয় ফারুক মোল্লা ও টুটুল গাজিসহ কয়েকজন মিলে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজগপত্রের ২টি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে।
পরে একটি ব্যাগ ফিরিয়ে দিলেও তবে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজগপত্রের ব্যাগটি পাওয়া যায়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুক মোল্লা জানান, অধ্যক্ষ ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে আবেদনকারীদের এডমিট না দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করলে স্থানীয় ও চাকরীতে আবেদনকারীরা সভাপতিসহ নিয়োগ বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে।
তাকে লাঞ্ছিত বা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজগপত্রের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া হয়নি। মাদ্রসাার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, অনুকূল পরিবেশ না থাকায় মাদ্রাসার ৩টি পদের নিয়োগ স্থগিত করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম জানান, ডিজির প্রতিনিধি নিয়ে সংশ্লষ্ট মাদ্রাসা কর্তপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া করে থাকেন। অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত বা পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি তাকে কেউ অবগত করেনি। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এইচকেআর
