ঝালকাঠিতে এক টেবিলে আওয়ামী লীগ- বিএনপি-জাতীয় পার্টি


ঝালকাঠিতে রাজনৈতিক সৌহার্দ্যরে সংস্কৃতি এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বিষয়ে কর্মশালায় মিলিত হলেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে ডেমোক্রেসি ইন্টার ন্যাশনালের মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের (এমএএফ) এ কর্মশালায় মিলিত হন তাঁরা।
কর্মশালায় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাংবাদিক ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
সহযোগিতায় ছিলেন ইউকেএইড। কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের উপপরিচালক দিপু হাফিজুর রহমান।
এতে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝালকাঠি এমএএফ এর সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিল, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাকিনা আলম লিজা ও ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়।
অংশগ্রহণকারীরা কর্মশালার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সম্প্রীতি নিয়ে আলোচনা করেন। একই সাথে গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে পরিকল্পনা করে উপস্থাপন করেন।
উপস্থিত সকলেই রাজনৈতিক সম্প্রীতির পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে যুব সমাজ ও এমএএফ এর করনীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, আমাদের আদর্শের জায়গা থেকে আমরা অনেক কথা বলবো, অনেক কাজ করবো। কিন্তু তা হতে হবে আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য, নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য আছে, কিন্তু আমরা এক জায়গায় আমরা একমত।
এই দেশ আমার, আমাদের। অনেক কষ্টের বিনিময়ে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা যদি দেশ ও মানুষের কল্যাণ মনে রাখতে পারি, তাহলে রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য, রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে। দেশের, মানুষের ও আমার এলাকার কল্যাণে আমাকে ডাকলে, সব সময় পাবেন। কারণ আমরা সুন্দর একটি দেশ চাই।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও এমএএফ এর সাধারণ সম্পাদক সাকিনা আলম লিজা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে মতানৈক্য থাকবেই।
কিন্তু আমাদেরএকে অন্যের মতানৈক্যের প্রতি সহনশীল হতে হবে। তাহলে রাজনৈতিক সৌহার্দ্যের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
ঝালকাঠি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, আমরা তিন দলের নেতারা এখানে একত্রে বসে আছি। কর্মশালা শেষে আমরা আমাদের আলাদা পথে ফিরে যাবো। কিন্তু ভালো কাজের চর্চায়, নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে একত্র থাকাটা জরুরী।
এইচকেআর
