স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ


ঝালকাঠির রাজাপুরের বারবাকপুর আমিনবাড়ি এলাকায় জনদুর্ভোগ লাগবে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এলাকার প্রায় অর্ধশত মানুষ একাত্রিত হয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবাকপুর দারুস সুন্নত দ্বীনিয়া এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাওলানা আব্দুল কবির দীর্ঘ ২২ বছর ওই জায়গাটি দখল করে দেয়াল নির্মাণ করে এলাকাবাসীর হাটার পথ বন্ধ করে রাখেন।
এতে এলাকাবাসীর যাতায়াত, কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র, অসুস্থ রোগী আনা-নেওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হতো। অবশেষে রাস্তা নির্মাণ করায় জনভোগান্তি দূর হয়েছে।
স্থানীয় আল-আমিন ফরাজি, সাইফুল ফরাজি, কুদ্দুস হাওলাদার, হেলাল উদ্দিন হাওলাদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানায়, কিছুদিন আগে এলাকাবাসী মাওলানা আব্দুল কবিরের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানসহ গণমান্য ব্যক্তি রাজাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ২৫ জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু এক সপ্তাহের মধ্যে মাওলানা আব্দুল কবিরকে দেয়াল ভেঙে ফেলার নোটিশ দেন। সার্ভেয়ারসহ সরজমিনে এসে তিনি জমি পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেন।
কিন্তু মাওলানা আব্দুল কবির নোটিশের তোয়াক্কা না করে ঝালকাঠির আদালতে নিজের সম্পত্তি দাবি করে মামলা দায়ের করেন। আদালত উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। স্থানীয়রা ভূমি অফিসের দেওয়া উচ্ছেদ নোটিশ আদালতে পেশ করলে আদালত আব্দুল কবিরের পক্ষে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন।
এর পরেও আব্দুল কবির রাস্তার সম্পত্তি তাঁর দখলে রেখে দেন। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য জমি পরিমাপ করে সীমানা পিলার বসিয়ে দেন। সম্পত্তির পরিমাপ বুঝে পেয়ে স্থানীয়রা শেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মধু বলেন, আমরা আইনেরপ্রতি শ্রদ্ধাশীল। জনগণের স্বার্থে আমরা রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। মাওলানা আব্দুল কবির বলেন, এই সম্পত্তি আমাদের। একটি মহল তাদের পেশিশক্তির জোরে
আমাদের সম্পত্তিতে পিলার বসিয়েছে। জমি নিয়ে বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মাসুদ রানা বলেন, এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণের আদেশ পাওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থীতিশীল অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচকেআর
