শেষমেষ বাবার পথেই হাটলেন জাস্টিন ট্রুডো


বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি। দুজনের মধ্যে ‘অর্থবহ এবং কঠিন আলাপ-আলোচনার’ পর তারা এই ঘোষণা দিলেন। ইন্সটাগ্রাম পোস্টে এই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা ‘একটি ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতো থাকবেন,যার ভিত্তি হবে ভালোবাসা ও সম্মান’।
২০০৫ সালে তারা মন্ট্রিয়লে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে তাদের তিন সন্তান রয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দম্পতি বিচ্ছেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাদের এখনো জনসমক্ষে একসাথে দেখা যাবে।
“ বিচ্ছেদের জন্য যেসব আইনগত এবং নৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেগুলো নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন ।আরো বলা হয়, আগামী সপ্তাহে তারা পরিবার হিসেবে ছুটি কাটাতে যাবেন।
তারা তাদের তিন সন্তান - জ্যাভিয়ার(১৫), এলা গ্রেইস (১৪) এবং হার্ডিন (৯) ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক এবং গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্যানাডায় স্বাগত জানানোর সময় একত্রে দেখা গেছে।
২০১৫ সালে মি. ট্রুডো যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন এই দম্পতি ভগ ম্যাগাজিনে একসাথে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।
সে সাক্ষাৎকারে মি. ট্রুডো বলেছিলেন, সোফি প্রেগরির সাথে তিনি যখন প্রথম দেখা করেছিলেন তখন বলেছিলেন, “ আমার বয়স ৩১ বছর, এবং আমি ৩১ বছর যাবত তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।”
২০২২ সালে তাদের বিয়ে বার্ষিকীতে মি. ট্রুডো ইন্সটাগ্রামে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিখেছিলেন।
“ আমরা রৌদ্রজ্জ্বল দিনের ভেতর দিয়ে যেমন গিয়েছি, ঝড়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছি এবং দুটোর মাঝখান দিয়েও গিয়েছি,” ইন্সটাগ্রামের সেই পোস্টে লিখেছিলেন মি. ট্রুডো।
২০০৩ সালে দুজন প্রথম দেখা করা শুরু করেন। মিস্ সোফি তখন ছিলেন একজন টিভি প্রেজেন্টার। তিনি তখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চ্যারিটিও করতেন।
জাস্টিন ট্রুডো হচ্ছেন ক্যানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। ছয় বছর একসাথে থাকার পর ১৯৯৯ সালে পিয়েরে ট্রুডো এবং মার্গারিট ট্রুডো বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আরজেএন
