‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় ভারত-পাকিস্তানে ব্যাপক প্রস্তুতি


পাকিস্তান ও ভারত উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। দেশ দুটিতে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সিন্ধুর কেটি বন্দর এলাকায় বিপর্যয় আঘাত হানতে শুরু করবে।
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রহমান জানিয়েছেন, সিন্ধুর উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় ৬৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানুষকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাছাড়া সব উদ্ধার সংস্থা ত্রাণ তৎপরতার জন্য প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ঠাট্টা, সুজাওয়াল, বেদিন ও থারপারকার জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় করাচি থেকে সরে গেছে। ফলে করাচিতে আঘাত হানার খুব একটা আশঙ্কা নেই।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ গুজরাটের দুটি উপকূলীয় জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় গুজরাটের উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে অন্তত ৩৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সম্ভাব্য ঝড় আক্রান্ত এলাকাগুলো দিয়ে যাতায়াতকারী অন্তত ৯৫টি ট্রেনের সূচি স্থগিত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি তদারকিতে বারবার বৈঠক করছেন ভারতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়মিত এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।
এইচকেআর
