হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে চেম্বারে যেতে বললেন চিকিৎসক


ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চক্ষু সার্জন মির্জা মাহবুবুর রহমানের কাছে রোগী নিয়ে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সিভিল সার্জনের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তি রক্তকণিকা ফাউন্ডেশনের ঝালকাঠি জেলা সাধারণ সম্পাদক আবিয়ান হাসান। তিনি ফেসবুকে লিখেন, ‘গেছিলাম আমার কারখানার এক মিস্ত্রীকে নিয়ে চোখের ডাক্তার দেখাতে। চোখে শক খেয়েছিল এজন্য তাকাতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু এরপর চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরে ডাক্তার একটা ড্রপ দিয়ে বলে চোখ ওয়াশ করতে হবে। তারপর ব্যান্ডেজ করতে হবে। সেটার জন্য তার চেম্বারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুই হাজার টাকা খরচও হবে বলে দিলো।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এরপর আমি বলি কী কী মেডিসিন দরকার এটা বলেন, আমি কিনে নিয়ে আসি। হাসপাতালে বসে করে দিন। তখন সে বললো, আপনি মেডিসিন খুঁজে পাবেন না। আপনার তাতে সময় নষ্ট হবে। এর চেয়ে আমার চেম্বারে আসবেন। টাকা দিলেই ওখান থেকে সব করে দেবে। এরপর আমি চলে আসি। এখন কথা হচ্ছে, হাসপাতালে এগুলো কী হচ্ছে? দেখার মতো কেউ নেই? ডাক্তার দেখাতে গেলে হাতে চেম্বারের টিকিট ধরিয়ে দিচ্ছে। হাসপাতালে মেডিসিন নেই বুঝলাম, কিনে দিতে চাইলাম কিন্তু তাও সে করবে না। কিন্তু কেন? কতদিন আর রোগীরা এভাবে হয়রানি হবে?’
জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ডা. মির্জা মাহবুবুর রহমানের জন্য নির্ধারিত কক্ষে চোখের জটিল কোনো রোগ নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে মেডিসিন, যন্ত্রপাতি ও লোকবল নেই বলে ব্যক্তিগত চেম্বারে যেতে উৎসাহিত করেন তিনি। দুপুর ২টা পর্যন্ত থাকার নিয়ম থাকলেও দুপুর ১২টা অতিক্রম হতেই তিনি ব্যক্তিগত চেম্বারে চলে যান। সেখানে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিতে হয়। অপারেশনের প্রয়োজন হলে চেম্বারেই তিনি অপারেশন করে থাকেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ডা. মির্জা মাহবুবুর রহমানের মোবাইলফোনে কল করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই ফোন কেটে দেন।
তবে সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, একজন আমার কাছে এসে ডা. মির্জা মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দিয়ে গেছেন। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে জেনে তাকে সংশোধনের জন্য বলবো।
এইচকেআর
