চার লাখ টাকার পুরনো স্কুল ভবন মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি


ঝালকাঠিতে চার লাখ টাকার একটি পুরনো স্কুল ভবন মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় নিলাম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি নিলামে বাইরের কাউকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
পছন্দের লোকরা মিলে নিলামে অংশ নিয়ে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহীমকে স্কুলের পুরনো ভবনটি পাইয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেককুন নাহারের কক্ষে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে অংশ নিতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছেন এজিএম মিজানুর রহমান নামে এক ঠিকাদার।
তিনি অভিযোগ করেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলার স্থান সিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি নিলামের জন্য মঙ্গলবার সময় নির্ধারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নিলামে অংশ নেন সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহীম।
তাকে সহযোগিতা করতে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আগে থেকেই অবস্থান নেন। নিলামে অংশ নিতে যান ঠিকাদার এজিএম মিজানুর রহমান। তাকে নিলাম কক্ষে প্রবেশ করতে দেননি ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। পছন্দের লোকজন নিয়ে নিলামে অংশ নিয়ে চার লাখ টাকার স্কুল ভবনটি মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ঠিকাদার এজিএম মিজানুর রহমান বলেন, আমি নিলামে অংশ নিতে গেলে আমাকে বধা দেওয়া হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। স্কুল ভবনটি দাম আছে চার লাখ টাকা। আমি অন্তত দুই লাখ টাকা দর বলাতম। এটা বুঝতে পেরে আমাকে নিলাম কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহীম মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় ভবনটি কিনে নেয়।
এতে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে আমি মনে করি। নিমালটি বাতিল করার জন্য আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দু রহীম বলেন, আমি সঠিক প্রক্রিয়ায় নিলামে অংশ নিয়ে স্কুলের পুরনো ভবনটি পেয়েছি। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি, আমি কাউকে নিলামে অংশ নিতে বাধা দেইনি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেককুন নাহার বলেন, নিলামে কোন অনিয়ম হয়নি। সর্বোচ্চ মূল্য যেটা পেয়েছি, তাতেই স্কুলের ভবন বিক্রি হয়েছে। তিনজন ঠিকাদার এই নিলামে অংশ নেয়। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচকেআর
