ঢাকা রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

Motobad news

খাঁটির নামে ফাঁকি, মধুতে রং-চিনি-ফিটকিরি

খাঁটির নামে ফাঁকি, মধুতে রং-চিনি-ফিটকিরি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আধা লিটার খাঁটি মধুর সঙ্গে চিনি, ফিটকিরি, পানি আর রং মিশিয়ে দুই লিটার মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এরপর মিশ্রণটি চড়া বিক্রি করা হয় খাঁটি মধু বলে।

এভাবেই ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছিলেন নুর ইসলাম মুকুল নামে এক অসাধু ব্যবসায়ী।  

অবশেষে খবর পেয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে তাঁর ভেজাল মধু তৈরির কারখানাটি। সেই সঙ্গে তাকে না পেলেও তাঁর ওই কারখানার কারিগর শাহাজাহান গাজীকে (৩৫) এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দ করে নষ্ট করা হয়েছে ১০ মণ ভেজাল মধু।  

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার পিটিআই মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ অভিযান চালায়।

সাতক্ষীরা জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, পিটিআই মাঠের পূর্বপাশে একটি কারখানা রয়েছে নুর ইসলাম মুকুলের। মাস খানেক আগে তিনি নওশের আলী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘরটি ভাড়া নেন। 

এরপর ওই ঘরে ভেজাল মধু তৈরি করতেন তিনি ও তার নিয়োগ দেওয়া কর্মীরা। তারা প্রথমে চিনি ও পানির সঙ্গে ফিটকিরি মেশাতেন। পরে রঙের সঙ্গে স্বাদ বাড়ানোর রাসায়নিক দ্রব্য মেশাতেন। এরপর আধা লিটার খাঁটি মধুর সঙ্গে এসব মিশ্রণ মিশিয়ে দুই লিটার মিশ্রণ তৈরি করা হতো। এরপর চড়া দামে বিক্রি করা হতো খাঁটি মধু হিসেবে।

মোকলেছুর রহমান আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যান মূলহোতা নুর ইসলাম মুকুল। এসময় আটক করা হয় কারিগর শাহাজাহান গাজীকে। 

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ নেওয়াজ তানভীর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাহাজাহান গাজীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং ১০ মণ ভেজাল মধুসহ কারখানা সিলগালা করে দেন।  

তিনি আরও জানান, ভেজাল মধুর নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নুর ইসলাম মুকুলের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন