বেতাগীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি মালামাল বিক্রির অভিযোগ


বরগুনার বেতাগীতে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি আবাসনের মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন ওই ইউপি সদস্য।
জানা গেছে, বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে সিডরের পরে সরকারি আবাসন নির্মাণ করা হয়। আবাসনগুলো এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলা প্রশাসন ভূমিহীনদের জন্য সেখানে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। পরে সাত দিনে সেখানকার পুরানো টিন, লোহার অ্যাঙ্গেল ভেঙে এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়।
ঝোপখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল মৃধা ও কাউছার খন্দকার বলেন, ‘গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে ইউপি সদস্য মনির সিকদার সবার অগোচরে সেসব মালামাল পিকআপভ্যানে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি দেখতে পেরে আমরা তার পিছু নেই। পরে দেখা যায়, মালগুলো তিনি পাশের গ্রাম বাকেরগঞ্জের এনায়েত হোসেনের ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে বিষয়টি আমরা ইউএনও স্যারকে জানাই।’
পুরানো আবাসন সংলগ্ন বাসিন্দা লাভলী আক্তার বলেন, ‘ইউপি সদস্য মালামাল চুরি করে বিক্রি করেননি। বরং তাকে না জানিয়ে গোপনে কিছু মালামাল শ্রমিকরা বাড়িতে নিয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মনির সিকদার শুক্রবার সকাল ১০টায় মুঠোফোনে বলেন, 'আসল বিষয়টি হচ্ছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে তিনটি পুরানো আবাসন ভেঙে বালু দিয়ে ভর্তির নির্দেশ দেন। পুরানো আবাসনের মালামাল ভেঙে ইউপি পরিষদে নেয়া হয়েছে। আমার গত ইউপি নির্বাচনের প্রতিপক্ষরা চুরির নাটক সাজিয়েছে।’
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ওই স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্পটে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। থানায় মামলা হয়েছে।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন,'পুরানো আসবাবপত্র বিক্রি করতে বলা হয়নি। পুরানো আসবাবপত্র বিক্রি সরকারি বিধি মোতাবেক নিলাম কমিটি সম্পন্ন করবে। ইউপি সদস্যে মালামাল চুরি করে বিক্রি করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এইচকেআর
