ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • ‘মব জাস্টিস’ মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে : তারেক রহমান বৃহস্পতিবার শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, অংশ নিচ্ছে ১২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ একজন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, একমত বিএনপি পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামি : প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই: ফয়জুল করীম আইএমএফের অর্থছাড়: ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রিজার্ভ বাকেরগঞ্জের কারখানা নদীতে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়চ্ছেন মানুষ পন্টুনের ধাক্কায় ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে, জেলে নিখোঁজ
  • সুগন্ধায় লঞ্চ ট্রাজেডির এক বছর

    ‘প্রতি মুহূর্ত শিউরে উঠি, লাশের সারি চোখে ভাসে’

    ‘প্রতি মুহূর্ত শিউরে উঠি, লাশের সারি চোখে ভাসে’
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    ‘চারদিকেই আগুন দাউ -দাউ করে জ্বলছিল। অথৈ পানি থাকা সত্ত্বেও আগুনে পানি দেয়ার মতো কারো সুযোগ ছিল না।

    অনেকের মতো আমরাও লঞ্চ থেকে লাফ দিই। প্রাণে বেঁচে যাই।  এক বছর পার হলেও প্রতি মুহূর্ত শিউরে উঠি। লাশের সারি চোখে ভাসে। ’

    ২০২১ সালের বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এভাবেই স্মৃতিচারণ করলেন মাধবী কর্মকার। তিনি বরগুনার পাথরঘাটার সাংবাদিক বিনয় ভূষন কর্মকার খোকনের সহধর্মিণী।

    সেদিন গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী তিনি।  

    নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচলেও দুঃসহ সেই ঘটনায় মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি ও তার ছেলে-মেয়ে।

    মাধবী কর্মকার বলেন, এখনো মনে পড়লে আঁতকে উঠি। বিশেষ করে আমার ছেলে ও মেয়ে ওদের মনে এখনো ভয় কাজ করে। এ জন্য অনেক চিকিৎসাও করিয়েছি। এখনো ওদের মনের ধাক্কা ভুলতে পারেনি। মাঝে মধ্যে ঘুমের ঘোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। মৃত্যুর ভয়াবহতা এমন ছিল যে মৃত্যু কত যন্ত্রনা তা না দেখলে বোঝা যাবে না।  

    কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন সে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনজন যখন লঞ্চ থেকে লাফিয়ে নদীতে পড়ি। মেয়ে সাঁতার না জানায়  কয়েকবার হাত থেকে ছুটে গিয়েছিল। ছেলে শুভ আমাকে কুলে উঠিয়ে মেয়েকে খুঁজে পায়। মেয়েকে ফিরে পাবো ভাবতেও পারিনি। ভোর হওয়ার পর দেখি লাশ আর লাশ।


    মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা শুভ কর্মকার বলেন, আগুনের লেলিহান শিখা দেখে কেবিন থেকে ব্যাগ নিয়ে তিনজন বের হয়ে লঞ্চের ডেকের সামনে যাত্রী ওঠা নামার স্থানে চলে আসি। প্রথমে মা শাড়ি পড়নে থাকায় তাকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেই। আমার হাত থেকে কয়েকবার মায়ের হাত ছুটে যায়। অনেক কষ্ট করে মাকে নিয়ে কুলে নিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর লঞ্চে বোনকে আনতে যাই‌। সাঁতার না জানা বোন দেবস্মিতাকে নিয়ে ও ব্যাগ নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেই। কয়েকবার বোনের হাত ছুটে যায়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে কাছাকাছি থাকায় সন্ধান পাই। বহু কষ্টে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হই।

    তিনি আরও বলেন, আমি একাই সাঁতার জানি, মা-বোন সাঁতার জানে না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি ও সাহস দিয়েছিলেন তখন। নদীতে ঝাঁপ না দিলে আগুনের লেলিহানে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতাম। পৃথিবীর আলো আর দেখতে পেতাম না।


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ