ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

ঝালকাঠিতে নবজাতককে গুম করার অভিযোগ

ঝালকাঠিতে নবজাতককে গুম করার অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঝালকাঠিতে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নবজাতক সন্তানকে গুম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নবজাতকের বাবা নলছিটি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের চিনময় রায় আদালতে মামলা করেছেন। 

আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করার জন্য বরিশাল পিবিআইকে নির্দেশ দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, নলছিটির ভবানীপুর গ্রামের কালা চন্দ্র পাশের মেয়ে বৈশাখী পাল রেশমীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই গ্রামের চিনময় রায়ের। মেয়ের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাঁরা বিয়ে করেন। পরে ১৩ জানুয়ারি ঝালকাঠির আদালত থেকে নোটারী পাবিলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করা হয়। স্বামী-স্ত্রী তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। এ অবস্থায় স্ত্রী অন্তসত্তা হয়ে পড়লে গত ৩ নভেম্বর ঝালকাঠি শহরের গুরুধাম এলাকার সাউথ স্কয়ার ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। 

গত ৬ নভেম্বর কিছুটা সুস্থ হলে স্ত্রীসহ নবজাতক পুত্রকে নিয়ে বাড়িতে যায় চিনময়। সেখান থেকে চিনময়ের শ্বশুর ও শাশুড়ি নানাভাবে বুঝিয়ে স্ত্রী বৈশাখী পাল রেশমীকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরের দিন চিনময় সন্তানের জন্য পোশাক ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে গেলে তাকে শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। 

এমনকি তাকে জানানো হয়, তাঁর কোন সন্তান নেই। বৈশাখীর কোন সন্তান হয়নি। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন চিনময়। চিনময়ের ধারণা তাঁর নবজাতক সন্তানকে গুম করে ফেলা হয়েছে। এতে তাঁর সন্তানের জীবন হুমকির মুখে। তাকে মেরে ফেলাও হতে পারে বলে তিনি জানান।  

চিনময়ের অভিযোগের সূত্রধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠি শহরের স্কয়ার ক্লিনিকে গিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বৈশাখী পাল রেশমীর সন্তান প্রসবের খবরের সত্যতা পাওয়া যায়। ক্লিনিকে কর্মরত তাজুল ইসলাম বলেন, নলছিটি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বৈশাখী পাল রেশমী নামের এক রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে। তিনি একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মা ও সন্তান সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি। অপারেশনের সময় তাঁর মা ভক্তি পাল বন্ড পেপারে সই করেছেন। তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪৯/৩, বেড নম্বর ২। 

 চিনময় রায় বলেন, আমার নবজাতক সন্তানকে গুম করে ফেলেছে শ^শুর, শাশুড়ি ও তাদের পরিবারের লোকজন। আমার স্ত্রী প্রথমে সন্তনের কথা স্বীকার করলেও এখন বলে আমার কোন সন্তান জন্মই হয়নি। আমার সন্তানকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে ওরা। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। মামলায় স্ত্রী বৈশাখী পাল রেশমী, তাঁর মা ভক্তি পাল, বোন চায়না বৌস ও বোনের স্বামী অলোক বৌসকে আসামি করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আমার সন্তানের খোঁজ পাওয়া যাবে।

 বৈশাখী পাল রেশমী মুঠোফোনে বলেন, আমার সন্তান জন্মদানের পর থেকেই কারা যেন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমার সন্তান অসুস্থ বলে তাকে বরিশাল চিৎিসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমি এখনো পুরো সুস্থ হয়নি। কারা আমার সন্তানকে দূরে রেখেছে, আমি তা জানি না। এ ব্যপারে বৈশাখী পাল রেশমীর মা ভক্তি পাল বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। 
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন