আমতলীতে নিখোঁজের একদিন পরে পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার!


নিখোঁজের একদিন পরে বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কড়ইবুনিয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভিকটিম শাহজাহান কবিরাজ (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কড়ইবুনিয়া গ্রামের মৃত্যু মফেজ কবিরাজের পুত্র শাহজাহান কবিরাজ গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে বাড়ী থেকে পার্শ্ববর্র্তী কল্যানপুর বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। আজ (শনিবার) দুপুরে ভিকটিমের বাড়ী থেকে ৩০০ গজ দূরে একই এলাকার জনৈক মোশারেফ মোল্লার বাড়ীর পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখে স্থাণীয়রা আমতলী থানা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে মরদেহ তুলে দেখতে পায় ভিকটিমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে কেহ তাকে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় ভিকটিমের পুত্র মাইনুদ্দিন কবিরাজ বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিম শাহজাহান কবিরাজের পুত্র মামলার বাদী মাইনুদ্দিন কবিরাজ মুঠোফোনে বলেন, আমাদের সাথে পারিবারিকভাবে জায়গাজমি নিয়ে একই বংশের অন্যান্য লোকজনদের সাথে দ্বন্দ আছে। আমার বাবা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ী থেকে পার্শ্ববর্তী কল্যাণপুর বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আজ দুপুরে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে স্থাণীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। আমার পিতার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের ধারণা তাকে আমাদের শত্রুরা হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছে।
আমতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভিকটিম শাহজাহান কবিরাজকে কেহ হত্যা করে ওই পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমবি
