উপকুলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ


বরগুনার আমতলীর প্রত্যন্ত জনপদে অবস্থিত শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এ অঞ্চলের অসহায় গরীব ছেলে-মেয়েদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করছে।
২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ইলেকটিক্যাল, কম্পিউটার, অটেমোবাইল, এ্যাপারেল ম্যানু ফ্যাকচারিং এই চারটি ট্রেডে ছাত্র ছাত্রীরা অধ্যায়ন করছেন। বর্তমানে ২১১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে স্কুল এন্ড কলেজটি। স্কুল এন্ড কলেজ আমতলী পৌরসভার ২ নং ওর্য়াড সলগ্ন অজপাড়াগাঁয় অবস্থিত। গ্রামের ভেতর দিয়ে আঁকাবাকাঁ পিচঢালা পথে পৌরসভা সলগ্ন দূর্গম জনপদে ওই স্কুল এন্ড কলেজটির অবস্থান।
সরেজমিনে শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পাঁচতলা বিশিষ্ট বিশাল একাডেমিক রূপান্তরিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সীমানায় বাউন্ডারি ওয়াল, গেইট, বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল মাঠ, একাডেমিক ভবনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস রুম, বিশাল অফিস রুম, শিক্ষক মিলনায়তন রুম, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব রুম, বিজ্ঞানাগার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ও মুক্তিযোদ্ধা কর্নার রুম, ছাত্র, ছাত্রী এবং শিক্ষকদের জন্য পৃথক পৃথক ওয়াশরুম, আর্সেনিকমুক্ত পানির ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নিজাম উদ্দিন নিজ খরচায় বিল বোর্ড স্থাপন ও স্কুলের মধ্যে গাছের চারা রোপন করে স্কুটিকে মনোরম পরিবেশ বান্দব করে তুলেছেন।
বর্তমানে স্কুলএন্ড কলেজটিতে চিফইনসট্যাক্টরের ৫টি টেকওনন টেকইনসট্যাক্টরের ১৪টি জুনিয়র ইনসট্যাক্টরের ২৬টি সহায়ক কর্মচারীর ১৮টি পদ রয়েছে এর মধ্যে চিফ ইনসট্যাক্টরের ২টি টেক ও নন টেক ইনসট্যাক্টরের ১২টি জুনিয়র ইনসট্যাক্টরের২৬টি সহায়ক কর্মচারীর ১৫টি পদ শুন্য রয়েছে । শিক্ষক কর্মচারীর পদ শুন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, স্যারেরা আমাদের ভাল মত পাঠদান করায় । আমাদের বরিশাল ঢাকা গিয়ে আর পড়া শুনা করতে হবেনা।
আরেক শিক্ষার্থী মাইশা বলেন, আমাদের কস্ট করে আর কোথায় যেতে হবেনা । বাড়ী থেকে এসে কলেজে এসে ক্লাশ করতে পারবো। এখান থেকে পাশ করে চাকুরী করতে পারবো।
আমতলীর চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে সরকারী শেখ হাসিনা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ দক্ষিনাঞ্চলের অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আলোর বর্তিকা হিসাবে কাজ করবে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করার পর আমাদের শিক্ষক কম থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও কলেজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তিনি আরো বলেন বলেন-স্কুল প্রতিষ্ঠার শুরুতেই আমি গুরুত্ব দেই স্কুল এন্ড কলেজ নিয়ম-শৃঙ্খলা ও পড়া-লেখার মানোন্নয়নের দিকে।
বরগুনা- ১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু বলেন, দক্ষিণাাঞ্চলের সকল মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দক্ষিণাাঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যার মাধ্যমে এখানকার মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। তিনি অতিদ্রুত শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
এইচকেআর
