গরিবের ভাতার টাকা ইউপি সদস্যের ছেলের হিসাবে


বরগুনার বেতাগীতে অর্থ ছাড় হলেও অঞ্জু রানী (৭১) নামে এক বৃদ্ধা বয়স্ক ভাতার টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে গত ৭ নভেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী। পরে ওই টাকা ইউপি সদস্যের ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টে গেছে বলে জানা যায়। অঞ্জু রানী উপজেলার কুমড়াখালী গ্রামের অনিল চন্দ্র শীলের স্ত্রী।
ভুক্তভোগীর ছেলে রিপন চন্দ্র শীল জানান, তাঁর মায়ের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ১ হাজার ৫১০ টাকা করে ৩ হাজার ২০ টাকা তাঁর মায়ের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে এসেছে। তবে এরপর টাকা না পাওয়ায় উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে যোগাযোগ করেন।
সেখান থেকে জানানো হয়, তাঁর মায়ের বয়স্ক ভাতার টাকা অন্য একটি বিকাশ নম্বরে চলে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, টাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন গাজীর ছেলের অ্যাকাউন্টে গেছে। রিপন আরও বলেন, ইউপি সদস্যের ছেলে মো. নাঈমের বিকাশে টাকা গেলেও তিনি সমাজসেবা দপ্তরে তাঁর নম্বর দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে মো. নাঈম বলেন, ২৫ অক্টোবর তাঁর বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১ হাজার ৫১০ টাকা আসে। পরে জানতে পারেন, এটি বয়স্ক ভাতার টাকা। কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে, জানতে পারেননি। টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। ইউপি সদস্য আবুল হোসেন গাজী বলেন, তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কীভাবে টাকা এলো তা তিনি জানেন না।
এইচকেআর
