ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

২৬ ঘণ্টা থানায় আটকা ধর্ষক-তরুণী, অতঃপর...

২৬ ঘণ্টা থানায় আটকা ধর্ষক-তরুণী, অতঃপর...
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

নোট বই দেওয়ার কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে হোটেল কক্ষে রাতভর ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক ও ভুক্তভোগীকে ২৬ ঘণ্টা থানায় আটক রাখার পর সমঝোতা না হওয়ায় মামলা রুজু হয়েছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের গলাচিপা গ্রামের মো. বাদল মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান। তিনি আয়লা কলেজের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেন।

জানা যায়, মেহেদী হাসান পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নোট বই দেওয়ার কথা বলে মঙ্গলবার বিকালে বরগুনা সিরাজ উদ্দিন সড়কে আবাসিক হোটেলের ২৫ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন। হোটেলে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মঙ্গলবার রাতযাপন করেন। বুধবার সকাল ৯টায় ভিকটিম থানায় এসে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। একটু পরে মেহেদী হাসানকে আয়লা থেকে বেলা ১২টায় আটক করে পুলিশ।

স্কুলছাত্রী অকপটে স্বীকার করে- মেহেদী হাসান তাকে নোট বই দেওয়ার কথা বলে বরগুনা নিয়ে এসে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে মেহেদী স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ডায়েরি করে। রাতে ওই হোটেল কক্ষে মেহেদী তাকে জোর করে চারবার ধর্ষণ করে। আমি ডাকচিৎকার দিতে চাইলে মেহেদী আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়।

মেহেদী হাসান বলেন, আমার পরিবারসহ দীর্ঘ সময় ভুক্তভোগী এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে থানায় বসে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছি। ভিকটিমকে আমি বিয়ে করতে রাজিও হয়েছি। কিছু সাংবাদিক জেনে যাবার কারণে সমঝোতা হয়নি।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোন না ধরায় পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে মেহেদী হাসানের নামে ধর্ষণ মামলা করেছে। মেহেদীকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে কখন আটক করা হয়েছে তা জানি না।

দীর্ঘ ২৬ ঘণ্টা ভিকটিম ও আসামি থানায় রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ তথ্য আমার জানা নেই।

থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমি মেহেদীকে আয়লা থেকে থানায় নিয়ে আসি।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন