আমতলীতে ১১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, চরম আতংকে মানুষ
.jpg)

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার দিকে এগিয়ে আসছে বলে আভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণে বরগুনার আমতলীসহ আতংকে উপকূলীয় এলাকার মানুষ।
রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত অব্যাহত বর্ষণে আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলা শহরের নি¤œ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে । পানিতে থই থই করছে । রাস্তায় মানুষ জন দেখা যাচ্ছেনা। বেড়িবাধের বাইরেও বসবাসরত পরিবারগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই আমতলীর ১১১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ স্থানে থাকতে ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এ কারনে আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ রয়েছে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র আছে সেগুলো উন্মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিদের্শ দিয়েছেন।
উপজেলা ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর সহকারী পরিচালক মো. আসাদ মোবাইলফোনে বলেন, উপজেলার ১৭শ ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যে জনসাধারণকে সচেতন করতে গ্রামগঞ্জে প্রচার- প্রচারণা চালাচ্ছেন। কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে একই দিনে সূর্যগ্রহণের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ফুট পানি বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামে পায়রা নদীর বৃদ্ধি পেয়ে পাউবোর বেড়ি বাধ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। বাঁধ ফাটল ধরেছে যে কোন সময় বেড়িবাধ ভেঙ্গে চাওড়া ইউনিযনের কয়েকশ পরিবার তলিয়ে যেতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম সাদিক তানভির বলেন, এ উপজেলার ১১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। দুযোর্গ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, জানান, ঘূর্নিঝড় সিত্রাং দুর্যোগ মোকাবেলায় পৌরসভার পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুযোর্গ মোকাবেলায় পৌরসভার সকল আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রয়েছে। সচেতনতার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মজিবুর রহমান বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলার উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রত্যেক ইউনিয়নের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ সকল জনসাধরণকে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এইচকেআর
