আমতলীতে বছর শেষ হলেও সংস্কার হয়নি ভাঙা ব্রিজ


বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ও কুকুয়া ইউনিয়নের সংযোগ ব্রিজ আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন নদীতে আয়রণ ফুট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার এক বছর অতিবাহিত হলেও ব্রিজটি সংস্কার করা হয়নি। বিপাকে এই দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গুলিশাখালী ও কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ এই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে। এই ব্রিজটি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুব সহজে যাতায়াত করা যায়।
ব্রিজটি দিয়ে রিক্সা, ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন,টমটম, মাহেন্দ্র, পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল করে। সরেজমিনে দেখা যায় , আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ চলাচল করে। হঠাৎ কোন গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন যাবত চলাচলে ভোগান্তি চরম পর্যায় পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃৃষ্টি বারবার আকর্ষণ করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
এলাকার সাধারণ মানুষ ভেঙে যাওয়া এই ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয় মোঃ নাশির উদ্দিন ( ভিডিপি) বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে দুই ইউনিয়নের হাজারো সাধারণ মানুষের চলাচল প্রতিনিয়ত। যে কোন সুযোগ সুবিধায় মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করে পথচারীরা। গত এক বছর পর্যন্ত ব্রিজটি বেহাল দশা বাঁশের সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন চলাচলকারী মানুষজন। ব্রিজটি অতি দ্রুত সংস্কার করা বা নতুন ব্রিজ না হলে এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুকয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফার”ক মিয়া একটি ট্রলিতে করে ইট বোঝাই করে গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাজারখালী গ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমড়াগাছিয়া বাজারসংলগ্ন নদীর ওপর নির্মিত আয়রণ ফুট ব্রিজটি পার হওয়ার সময় হঠাৎ ব্রিজটির মাঝ বরাবর ভেঙে ইটসহ ট্রলিটি নদীতে পড়ে যায়।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওখানে গার্ডার ব্রীজ স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এমবি
