ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

 আমতলীতে মোবাইলে আসক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা

 আমতলীতে মোবাইলে আসক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠ্য পুস্তকের সাথে সম্পর্ক কমে গেছে শিক্ষার্থীদের। ফলে আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল ফোনে।  আমতলী পৌরশহরসহ উপজেলার গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা  করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। 

অনলাইন ক্লাসের নামে শিশু থেকে শুর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকে পড়ছে মোবাইল আসক্তে। আবার অনেকের পড়াশোনায় ছেড়ে বেকার সময় কাটাচ্ছে। এতে মানসিক ভারসাম্যহীনতার মধ্যে পড়ছে তারা। শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে পঙ্গুকরে ফেলেছেন করোনা ভাইরাস। দেখা যায়, গ্রামে কারো বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে পাড়া মহল্লার ছেলেরা দল বেঁধে সেই বাড়ির পাশে বসে সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে খেলা করছে। 

আবার অনেককে বাজারেও দেখা যায় মোবাইল নিয়ে কি যেন করছে। এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে ।
পড়াশোনার  চাপ নেই। নেই পাঠ্য বইয়ের সাথে কোন সম্পর্ক। মোবাইল নিয়ে  বিভিন্ন স্থানে  ৫/৭জন করে একসাথে বসে বিভিন্ন গেমস খেলায় মেতে থাকে।

আবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল পড়তে না পড়তেই শুর” হয়ে যায় একই কাজে। উপজেলার পৌর শহরে শিশুদের  বিনোদনের  যথেষ্ট জায়গা না থাকায় বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরাই বাসায় বসে সময় পার করছে। 

ফলে তারা সারাক্ষণ টিভি, মোবাইল বা অনেকে ল্যাপটপ নিয়ে সময় পার করছে। পরিচিত হচ্ছে নতুন নতুন গেমস এর সাথে।  মো. কবির দেওয়ান এক অভিভাবক বলেন, তিনি প্রতিদিন সকালে অফিসে যাই আর ফিরে আসি সেই সন্ধ্যায়। 

কোন কোন দিন রাতও হয়। বাসায় ছেলেকে ঠিক মতো সময় দিতে পারি না।প্রাইভেট টিউটর আসে। তিনি একটু সময় দেয়।সেই সময় ছাড়া আর কোন সময় আমার ছেলে বই ধরে না। সে কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। আবার খেলাধুলার জন্য কোন জায়গাও নেই।

একেবারে একগুঁয়ে হয়ে পড়ছে।সারাদিন মোবাইল আর টিভিই যেন ভরসা। শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান বলেন, করোনার কারণে একদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অন্যদিকে দরিদ্র পরিবারের প্রচুর শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।স্কুল পড়ুয়া অনেকেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ কর্ম করে উপার্জন করছে তাই দিয়ে দরিদ্র পিতা মাতাকে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমতলী পৌরসভার এক অভিভাবক বলেন, এক বছরের উপরে হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।

 ছেলে মেয়েরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। খেলাধুলার তেমন সুযোগ পায় না। কিছুদিন পর পর ডাক্তার দেখাতে হয়।ছেলে ঠিক মতো খায় না। অরচিতে ভোগছে। আর পড়াশোনা তো নাই বললেই চলে। এভাবে আরো কিছু দিন চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

অনেকে নেশায় জড়িত হয়ে পড়েছে।প্রথমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেভাবে অনলাইন ক্লাস চালু রেখেছিল তা থাকলেও ভালো হতো। আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা: মোনায়েম সাদ বলেন, বেশি সময় মোবাইল বা ল্যাপটপ নিয়ে পরে থাকলে তারা মানসিক ভারসাম্য হয়ে পড়বে মানষিক বিকাশ বাঁধা গ্রস্থ হবে ।

এতে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে র”চিহীনতা, মোবাইল ফোন দির্ঘ সময় দেখলে দৃষ্টি শক্তির সমস্যাও হতে পারে এবং বেশি সময় ধরে  মোবাইল  ল্যাপটপ নিয়ে পরে  থাকলে   আসক্ত হয়ে পড়তে পারে পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে।  
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন