সেরার লড়াইয়ে রাজা, সঙ্গী স্টোকস ও স্যান্টনার


বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরিতে হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। জিম্বাবুয়েরও ভারতের বিপক্ষেও শতকের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল সিকান্দার রাজার। ক্যারিয়ারের দুর্দান্ত সময় কাটানোর কালে এবার দারুণ এক স্বীকৃতির হাতছানি রাজার সামনে। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলা পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত এই ক্রিকেটার। আগস্টের সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গী বেন স্টোকস ও মিচেল স্যান্টনার।
গত মাসের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আজ সোমবার ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে আইসিসি।
সিকান্দার রাজা
৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নায়ক ছিলেন সিকান্দার রাজা। প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান তাড়ায় দলের জয় সঙ্গে নিয়ে যখন মাঠ ছাড়েন তিনি, নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১৩৫ রান।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দলকে জিতিয়ে ফেরেন রাজা। ২৯১ রানের লক্ষ্যে তিনি খেলেন ১১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। বল হাতে নেন ৩ উইকেট। টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ঘরে তোলে জিম্বাবুয়ে।
এরপর ভারতের বিপক্ষেও ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি উপহার দেন রাজা। খেলেন ১১৫ রানের দারুণ ইনিংস। ম্যাচটি অল্পের জন্য হেরে যায় জিম্বাবুয়ে। ২৮৯ রান তাড়ায় যেতে পারে তারা ২৭৬ রান পর্যন্ত।
বেন স্টোকস
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ইংলিশ অলরাউন্ডার। ইনিংস ব্যবধানে হারা ওই ম্যাচে দুই ইনিংসেই করেন তিনি ২০ রান করে। একমাত্র ইনিংসে বোলিং করে উইকেট নেন তিনটি।
পরের টেস্টেই নিজের সেরাটা মেলে ধরেন স্টোকস। ম্যানচেস্টারে প্রোটিয়াদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা টানার ম্যাচে ইংলিশদের নায়ক ছিলেন তিনি। দলের বিপর্যয়ে একমাত্র ইনিংস করেন ১০৩ রান। পরে বল হাতে দুই ইনিংসে নেন দুটি করে উইকেট।
প্রথম ইনিংসে মিডল অর্ডার দুই ব্যাটসম্যান এইডেন মারক্রাম ও রাসি ফন ডার ডাসেনকে পরপর দুই ওভারে ফেরান স্টোকস। এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা, থেমে যায় ১৫১ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও দলকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এনে দেন তিনি সাফল্য। মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা কিগান পিটারসেন ও ফন ডার ডাসেনকে পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন স্টোকস।
মিচেল স্যান্টনার
গত মাসে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৮ ম্যাচ খেলা নিউ জিল্যান্ড জিতেছে ৬টিতে। কিউইদের এসব জয়ে ব্যাট কিংবা বল হাতে দারুণ অবদান ছিল মিচেল স্যান্টনারের।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনে নেমে তিনি খেলেন ৪২ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জেতা প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে নেন তিনটি করে উইকেট।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেন কার্যকর দুটি ইনিংস। সঙ্গে তিন ম্যাচে নেন মোট ৪ উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। এবার প্রথমবারের মতো জায়গা পেলেন আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।
এএজে
