মেসিকে অসম্মান করায় এমবাপ্পের ওপর চটেছেন রুনি

পিএসজিতে এখন ক্ষমতার অদৃশ্য লড়াই চলছে। নেইমার জুনিয়রের সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের দ্বন্দ্ব তো এরইমধ্যে সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছে।
এরপর নেইমার ইস্যুতে লিওনেল মেসির সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
দুই সিনিয়র সতীর্থদের সঙ্গে এমবাপ্পের এমন আচরণ কিছুতেই মানতে পারছেন না সমর্থকরা। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ওয়েইন রুনিও। বিশেষ করে মেসির সঙ্গে এমবাপ্পের আচরণ নিয়ে সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার তো রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
'ডেপার স্পোর্টস'-কে ইংল্যান্ডের রেকর্ড গোলদাতা বলেন, ‘‘একটা ২২-২৩ বছরের খেলোয়াড় মেসিকে ধাক্কা দিচ্ছে... এত বেশি অহংকার আমি জীবনে কখনো দেখিনি। এমবাপ্পেকে এটা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, ওই বয়সে মেসির নামের পাশে চারটা ব্যালন ডি’অর ছিল। ’
গত কিছুদিন ধরেই ফরাসি শীর্ষ লিগে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নেইমার-এমবাপ্পে দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি এক পেনাল্টি কিক নেওয়া নিয়ে মাঠেই ঝগড়ায় জড়ান দুই পিএসজি তারকা। এমনকি তাদের সেই ঝগড়া ড্রেসিংরুমে গিয়ে গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। বলা হয়, প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠেছেন এমবাপ্পে। সেই ক্ষমতার বলেই নাকি তিনি নেইমারকে ক্লাব থেকে তাড়াতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু নতুন কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে নিয়েই দল সাজান। বিষয়টা নাকি কিছুতেই মানতে পারছেন না এমবাপ্পে। কিছুদিন আগে লিগ ওয়ানের এক ম্যাচে এমবাপ্পেকে পাস না দিয়ে মেসিকে দিয়েছিলেন ভিতিনহো। এ নিয়ে মিডফিল্ডারের ওপর ক্ষেপে যান এমবাপ্পে। এমনকি দৌড়ানোও বন্ধ করে দেন। এছাড়া ম্যাচের শুরুতে পেনাল্টি শট নেন তিনি। কিন্তু মিস করেন। ওই পেনাল্টি মিস নিয়ে এক টুইটার থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, নেইমার দলে থাকতে পেনাল্টি কেন এমবাপ্পে নিলেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা ওই টুইটে লাইক দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা আরেকটি পেনাল্টি পায়। এবারও এমবাপ্পে পেনাল্টি নিতে চাইলে তাকে দেননি নেইমার। নিজেই জোর করে পেনাল্টি নেন এবং গোল করেন। স্বভাবতই এমবাপ্পে এই ঘটনায় খুশি হতে পারেননি। ম্যাচে তাকে অনেক সময়ই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বল সামনে না আসলে দৌড়চ্ছিলেন না ফরাসি তারকা।
এরপর ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি লেগে যায় নেইমার-এমবাপ্পের মধ্যে। স্পোর্টস বাইবেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুজন চিৎকার করে একে অপরকে গালাগাল করছিলেন এবং মাথায় মাথায় ঠুকোঠুকি লেগে যায়। সতীর্থরা এসে তাদের আলাদা করেন। তবে তখনও ঝগড়া থামেনি। দুজন চিৎকার করতে থাকেন এবং আশেপাশে থাকা কিছু জিনিস ছুড়েও ফেলেন। ড্রেসিংরুমের সেই লড়াই এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
এএজে
