সাব্বিরের আনন্দ আর ধরে না


কখনো নারী বিষয়ক কেলেঙ্কারি, কখনো দর্শকের গায়ে হাত তোলা, আবার কখনো নিজ এলাকায় ঝামেলায় জড়ানো...এসবই ছিল গত কয়েক বছর সাব্বির রহমানকে নিয়ে আলোচনার বিষয়বস্তু। পারফরম্যান্স চলে গিয়েছিল তলানিতে। অনেকে তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তবু জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখতেন সাব্বির।
ক্রিকেটের মাঝে থাকতে জেলায় জেলায় গিয়ে পাড়ার টুর্নামেন্টে ‘খ্যাপ’ খেলতেন। সেই সাব্বির আজ জাতীয় দলে!
২০১৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সাব্বির। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন আগের বছর। যাকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে ধরা হচ্ছিল, সেই সাব্বির নানা বিতর্কে হারিয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। জাতীয় দলও একজন সাহসী ব্যাটারকে হারায়, যার হার্ডহিটিং দক্ষতা পরীক্ষিত। সব হারিয়ে সাব্বির বদলে ফেলেন নিজেকে। আবেগ এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে এনে ঘরোয়া লিগে পারফর্ম করতে শুরু করেন।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর এ পর্যন্ত ৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন সাব্বির। ৪৩ ইনিংসে রান করেছেন ৯৪৬। যার গড় ২৪.৮৯ ও স্ট্রাইকরেট ১২০.৮১। এ ফরম্যাটে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৮০। গত বিপিএলে ৬ ম্যাচে মাত্র ১৮.১৬ গড়ে করেন ১০৯ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১১১.২২। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৩৯.৬১ গড়ে ১৫ ম্যাচে করেন ৫১৫ রান। স্ট্রাইক রেট ১০২.৩৮। এই পারফরম্যান্সই মূলত তার সামনে জাতীয় দলের দরজা খুলে দেয়।
আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য আজ শনিবার ঘোষিত ১৭ সদস্যের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন সাব্বির। দীর্ঘ তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরতে পেরে মহাখুশি সাব্বির নিজের ফেসবুক পেজে হাস্যোজ্জ্বল একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’। এই একটা শব্দ আর হাসিমাখা ছবিতেই সাব্বির বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা খুশি। এখন একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণের পালা। সাব্বির কি পারবেন সব বিতর্ককে ঝেড়ে ফেলে আবারও নির্ভরযোগ্য হার্ডহিটার হয়ে উঠতে?
এএজে
