মঠবাড়িয়ায় মাছের ঘের ও ফসলের ব্যপক ক্ষতি


ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে বলেশ্বর নদ তীরবর্তী উপকূলীয় উপজেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মূল ভূ-খন্ড থেকে আলাদা দ্বীপ মাঝের চরের প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অতিরিক্ত পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭-৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদ তীরবর্তী খেতাচিড়া, কচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া, খেজুরবাড়িয়া, ভোলমারাচর, তুষখালী, ছোট মাছুয়া, জানখালী, বেতমোর, উলুবাড়িয়া, সাংগ্রাইলসহ অন্তত অর্ধশত গ্রামে পানি ঢুকে মাছের ঘেরসহ ফসলী জমির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানের রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩৫ হেক্টর ঘেরে চাষকৃত মাছ ও মাছের পোনা ভেসে যাওয়ায় কৃষকদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সিডর ও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ বাধ উচু করে নির্মাণ না করার ফলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পুরো চরটি ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। আম্ফানে বড়মাছুয়া স্টিমারঘাটের এক কিলোমিটার এলাকার বাধ ভেঙ্গে যায়। পরে বাধ উঁচু না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন কবলিত এলাকায় শুধু মাত্র বালির বস্তা ফেলে দায়সারা মেরামত করে।
ইয়াসের প্রভাবে তাও ধসে গেলে বাঁধ উপচে জোয়ারে গ্রামের পর গ্রাম জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বর্তমানে বড়মাছুয়া স্টিমারঘাট ও লঞ্চঘাট বাজার চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া বিপন্ন বাধের ওপর বৈদ্যুতিক পিলার গুলো হেলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীনের আশংকা রয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩৫ হেক্টর ঘেরে চাষকৃত মাছ ও মাছের পোনা ভেসে যাওয়াসহ অবকাঠামো ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড পিরোজপুর এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, বড় মাছুয়া বেড়িবাধে ঝুকিপূর্ণ স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার চেস্টা চলছে। এছাড়া খেতাছিড়া কচুবাড়িয়া বাধে জোয়ারের তোরে বাঁধের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাধঁগুলো পর্যাক্রমে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
