কুয়াকাটা সৈকতে মিলেছে মৃত ‘ইয়েলো বিল্ড সী স্নেক’


পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ফের দেখা মিললো একটি বাচ্চা ইয়েলো-বিল্ড সি স্নেক। তবে এটি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিকে হাইড্রোফিডি পরিবারের ভয়ংকর বিষধর এই সাপটি দেখতে পান ট্যুর গাইডরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়াকাটা ট্যুরগাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটা সৈকতের পশ্চিম দিকে ইয়েলো-বিল্ড সি স্নেকটি প্রথম আমাদের গাইডরা দেখতে পান। স্থলভাগ এবং সমুদ্রের মধ্যে যত সাপ আছে, তাদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বিষধর। এরা সমুদ্রের পানিতে একটানা আট ঘণ্টা ডুবে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এরআগে গত ৯ জুন এ ধরনের একটি সাপ জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। তবে আজকেরটা মৃত। তাই এটিকে অন্তত ৭-৮ ফুট গভীরে মাটি চাপা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
সৈকতে বিষধর সাপের দেখা মেলায় ভ্রমণকালে পর্যটকদের সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন কুয়াকাটা ট্যুরগাইড অ্যাসোসিয়েশনের এ নেতা।
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর কুয়াকাটা সৈকতের কাছাকাছি বিরল প্রজাতির সাপ, তিমি, কচ্ছপের দেখা মিলছে। এখন বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্ধিহান যে সমুদ্রের কোনো গতিপথ পরিবর্তন বা জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো প্রভাব কি না এটি।’
পটুয়াখালী জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, এ সাপের পেটের রং হলুদ। দেহের উপরিভাগ কালো। এরা সমুদ্রে থাকে। এর ইংরেজি নাম ইয়েলো-বিল্ড সি স্নেক। বৈজ্ঞানিক নাম নাম বিভিজি পেলামিস প্লাটুরা। এরা হাইড্রোফিডি পরিবারভুক্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে বসবাস করা এই সাপ তীরবর্তী এলাকায় খুব কম দেখা মেলে। এটি অত্যন্ত বিষধর সাপ। যদি কাউকে আঘাত করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হতে পারে। হাসপাতাল পর্যন্ত নেওয়ার সময় দেয় না। এদের অ্যান্টিবায়োটিক এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। আটলান্টিক মহাসাগর ছাড়া সারা বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরীয় জলে এদের পাওয়া যায়।’
‘সাধারণত এরা প্রশান্ত ও ভারত সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। উপকূলের চেয়ে গভীর সমুদ্রই এদের বেশি পছন্দ। হলুদ পেটের এ সাপ অধিক সমুদ্রপ্রেমী’, যোগ করেন বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এইচকেআর
