কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ৮৫০ সিসি ক্যামেরা স্থাপন


ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শুরু হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক), উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ১৮৯টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সংশয় থেকেই যাচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে। তবে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটকক্ষে (বুথে) ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্তে মেয়র পদে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর দুজন মো. মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আর ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত আশাবাদী, ভোট সুষ্ঠুই হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় ইভিএম। সোমবার (১৩ জুন) থেকেই শুরু হয়েছিলো সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ। কেন্দ্রগুলোতে ৮৫০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এশিয়াবিজ টেকনোলজি। ইসির হয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকায় ইসি সচিবালয় থেকে এবং কুমিল্লায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, ডিসি ও এসপিকে পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। পরীক্ষামূলক হওয়ায় অন্য কারও কাছে পাসওয়ার্ড দেয়া সম্ভব নয়। প্রার্থীদের দাবি থাকলেও এবার তা দেয়া যায়নি। সিসি ক্যামেরা পরীক্ষামূলকভাবে সফল হলে আগামীতে পর্যবেক্ষণের পরিসর বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে ভাববে ইসি।
ইসি থেকে জানানো হয়েছে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সব ভোট কক্ষে থাকছে সিসি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় ভোটের আগের দিন থেকে পরদিন মোট ৪৮ ঘণ্টা ধরে ধারণ করা ভোট দেয়ার গোপন কক্ষ বাদে ভোটকেন্দ্রের ভিডিও থাকবে ইসির কাছে। কেউ অনিয়ম করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমইউআর
